কে হচ্ছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী তাই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছিল জল্পনা। কার্যত ফাঁকা ময়দানে প্রচারে ঝড় তুলেছিল রাজ্যের শাসকদল। পাল্লা দিচ্ছিল সিপিএমও। রবিবার এই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই প্রচারে নেমে পড়েন উজ্জীবিত বিজেপি কর্মীরা। আর আজই বর্ধমানে রোড শো করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিলেন এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।
সোমবার সকালেই অণ্ডাল এয়ারপোর্টে নামেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। পাঞ্জাবি ধাবায় প্রাতরাশ সেরে বর্ধমান শহরে এসে তিনি প্রথমে যান বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। সেখানে পুজো দেন। তারপর যান গুরুদোয়ারায়। সেখানে প্রার্থনার পর শুরু হয় রোড শো।
বর্ধমান রাজবাড়ির উত্তর ফটক থেকে শুরু হয় মিছিল। কয়েকহাজার দলীয় সমর্থকের ভিড়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র বি সি রোড। রনপা নৃত্য, আদিবাসী নৃত্যে রীতিমতো বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। তারই পাশাপাশি ভোটের শ্লোগান। কার্জন গেট হয়ে মিছিল পৌঁছোয় টাউনহলে।
সময়াভাবে এ দিন মনোনয়ন জমা দেননি প্রার্থী। আগামীকাল জমা পড়বে মনোনয়ন। কিন্তু তার আগে শহরে রীতিমতো শক্তি প্রদর্শন করল বিজেপি। ঘাসফুলের শক্ত জমিতে পদ্ম ফোটাতে তারা কতটা সমর্থ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু এ দিন মাঠে নেমে ভোটের উত্তাপ যে বাড়াতে পারল কেন্দ্রের শাসকদল, তা নিশ্চয় বলা যায়। রোড শো শেষে বর্ধমানের জামাই তথা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র এসএস আলুওয়ালিয়া বলেন, “এটা বিধানসভা বা পঞ্চায়েত ভোট নয়, লোকসভা নির্বাচন। কেন্দ্রীয় বাহিনী সজাগ থাকবে। যাতে সকলে নিজের পছন্দের মানুষকে ভোট দিতে পারেন। গায়ের জোরে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট করতে পারবে না। গোটা দেশের মানুষ চাইছেন মোদীজীকে। বাংলার মানুষ আর বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষও তাই চাইছেন নরেন্দ্র মোদিকে। দেশ মোদীর হাতেই সুরক্ষিত।”