আবার ভাঙন তৃণমূলে। এবার স্বয়ং মমতা ব্যানার্জীর জন্য। মমতা ব্যানার্জীর দেশ বিরোধী মন্তব্যের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন ৭০০ সক্রিয় কর্মী। দেশে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পাকিস্তানকে ক্লিনচিট দিয়ে তাঁদের উপর দোষ চাপাতে না করেছিলেন।
এমনকি পুলওয়ামা হামলার বদলা নিতে ভারতীয় সেনা যখন সীমান্তের ওপারে গিয়ে জইশ এ মোহম্মদ এর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছিল, তখনও মমতা ব্যানার্জী দেশের সেনার উপর সন্দেহ প্রকাশ করে জঙ্গিদের লাশ দেখতে চেয়েছিল। শুধু মমতা ব্যানার্জীই নন, তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতারা ভারতীয় সেনা করা এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। এমনকি একজন নেত্রীতো বলেই ফেলেছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনা কোন বিমান হানা করেনি। ওগুলো সব ভুয়া।
এরপর ভোটে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিযুক্ত করার পর তৃণমূলের দাপুটে নেতাদের মুখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা রকম অশালীন এবং কুরুচিকর মন্তব্য তো আছেই। আর এর জেরেই শয়ে শয়ে তৃণমূল কর্মীরা দল ছেড়ে নাম লেখান বিজেপিতে।
বিজেপি সূত্র অনুযায়ী, গতকাল ৭ই এপ্রিল হুগলীর হরিপালে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তপন রায়ের হাত ধরে ২০০ জন তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী যোগ দেন বিজেপিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী অসিত কোলে সহ প্রায় ২০০ তৃণমূল কর্মী যোগ দেন বিজেপিতে।
বিজেপির আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জী এবং গোটা তৃণমূলের দেশ বিরোধী নীতির জন্যই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মীরা দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখেয়েছেন।”
আরেকদিকে হুগলীর বলাগড়ে বিজেপির প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জীর হাত ধরে ৫০০ তৃণমূল কর্মী যোগদান করেন বিজেপিতে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জী। বিজেপির বলাগড় মণ্ডল সভাপতি আলোক কুণ্ডু বলেন, ‘ তৃণমূলের লাগামহীন সন্ত্রাস এবং মুসলিম তোষণ থেকে বিরক্ত হয়ে তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দেন।”