এনআরএস কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা দিল পুলিশ, মঞ্জুর করল আদালত

এনআরএস-এ জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহ কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ বার আরও কড়া ধারায় রুজু হলো মামলা। ১ জুলাই জামিন হয়েছিল এনআরএস-এ ডাক্তারদের নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত থাকা অভিযুক্তদের। তবে এ বার সেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় অর্থাৎ খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছে পুলিশ।

ধৃতদের জামিনের পরেই শিয়ালদহ আদালতে তাদের কঠিন শাস্তির জন্য আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। সোমবার পুলিশের সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারকে নিগ্রহের ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু, মাত্র ২০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন পায় তারা।

জেল হেফাজতের শেষ দিনে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয় ওই পাঁচ অভিযুক্তকে। বিচারক মামলার সমস্ত বিস্তারিত নথি দেখেশুনে জানিয়ে দেন, অভিযুক্ত ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে যে তদন্ত শুরু হয়েছিল, তাতে কোনও অগ্রগতি হয়নি ওই ২০ দিনে। সেই কারণেই অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের জন্য আবেদন করেন পাঁচ অভিযুক্তের আইনজীবীরা। আর সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। এর পরে দু’হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাদের জামিন দেওয়া হয়।

গত ১০ জুন এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৮৪ বছর বয়সি রোগী মহম্মদ সঈদের। চিকিৎসার গাফিলতিতেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ আনে মৃতের পরিবার। মুহূর্তেই খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় হাসপাতাল চত্বরে। রোগীর পরিজনদের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তার এবং ইন্টার্নদের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাসপাতাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। এর মধ্যেই ট্রাক ভর্তি জনগণ এসে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। সেই সময় পুলিশ উন্মত্ত জনতাকে না আটকে ডাক্তারদের উপরেই লাঠি চার্জ করে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষের মাঝে পড়ে ইটের আঘাতে মাথা ফাটে ইন্টার্ন পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.