ODI ক্যাপ্টেন্সি বাঁচাতে ছাড়লেন T20-র তাজ, তবুও শেষরক্ষা কি হবে কোহলির?

টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক পদ থেকে বিরাট কোহলির দুম করে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছেন তাঁর ভক্তরা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে আদৌ কতটা অবাক হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট মহল?

সম্প্রতি পিটিআই -এর কাছে বিসিসিআই-এর এক সূত্র দাবি করেছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলে বিরাট কোহলিকে সরিয়ে দেওয়া হত। সেটা ভারত অধিনায়ক ভাল করেই জানতেন। সে কারণেই আগে থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কোহলি। এতে তাঁর উপর চাপটা নিজেই অনেকটা কমিয়ে ফেলতে পেরেছেন কোহলি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

কোহলি হয়তো মনে করেছিলেন, টি-টোয়েন্টি শুধু নয়, সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়কত্বও তাঁর হাত থেকে নিয়ে নেওয়া হবে। একদিনের অধিনায়কত্ব যাতে না যায়, সেই কারণেই টি-টোয়েন্টির তাজ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

এটাও শোনা যাচ্ছে, বিরাট কোহলি নাকি ভারতীয় ড্রেসিংরুমের থেকে পুরো সমর্থন পেতেন না। তিনি তাঁর চার ধারে একটি গণ্ডি কেটে রেখেছিলেন। খুব স্বল্প সংখ্যক ক্রিকেটার সেই গণ্ডির মধ্যে জায়গা পেতেন। এবং বাকিদের থেকে দূরত্ব রাখতেন কোহলি। অনেকে কোহলিকে স্বৈরাতান্ত্রিক বলেও ব্যাখ্যা করেন। 

সম্প্রতি রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেই যেমন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের বাইরে রেখেছিলেন কোহলি। এতে সমালোচনা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কর্ণপাত করেননি কোহলি। সেই সময়ে অনেকেই বলেছিলেন, কোহলি ব্যক্তিগত কারণে অশ্বিনকে দলের বাইরে রেখেছেন।

অ্যাডিলেডে তাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ৩৬ রানে অল আউট হওয়ার লজ্জার ইনিংসের আগে পর্যন্ত একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ করতেন কোহলি। কিন্তু এই ঘটনার পর সেই ক্ষমতা তাঁর খর্ব করা হয়।

একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার, যিনি অধিনায়ক হিসেবে কোহলিকে শুরুর দিকে সমানে থেকে দেখেছেন, তিনি পিটিআই-কে বলেছেন, ‘বিরাটের বড় সমস্যা হল প্লেয়ারদের সঙ্গে যোগযোগ রাখা। চব্বিশ ঘণ্টা এমএসের (ধোনি) দরজা খোলা থাকত প্লেয়ারদের জন্য। প্লেয়াররা আসত, পিএসফোর খেলত, খাবার খেত একসঙ্গে এবং ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করত। মাঠের বাইরে কোহলির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায় না।’ 

সেই ক্রিকেটার পিটিআই-কে আরও বলেছেন, ‘রোহিতের মধ্যে ধোনির কিছু ছায়া আছে। তবে একটু অন্য ভাবে। রোহিতও জুনিয়র প্লেয়ারদের বাইরে খেতে নিয়ে যায়। যখন মানসিক ভাবে হতাশ থাকে, তখন তাদের পাশে দাঁড়ায়, বন্ধুর মতো মেশে।’

কোহলি সবার থেকে দূরে গিয়েই সম্ভবত নিজের জায়গাটা হারিয়েছেন বলে অনেকেই মনে করছেন। বিসিসিআই রোহিত শর্মার নাম অধিনায়ক হিসেবে কবে ঘোষণা করবে, বা সহ-অধিনায়কের নাম, তা এখনও জানা যায়নি। সম্ভবত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই জানা যাবে সহ অধিনায়কের নাম। দেখার, অধিনায়কের নাম তারা কবে ঘোষণা করে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.