উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) পিলিভীত (Pilibhit) থেকে এক আজব মামলা সামনে এলো। সেখানে তিন তালাকের (Triple talaq) অত্যাচারে আক্রান্ত এক যুবতী নিজের জীবন শুধরানোর জন্য ধর্ম বদলে দ্বিতীয় বিবাহ করে নিলো। ওই যুবতী হিন্দু মন্দিরে গিয়ে সমস্ত হিন্দু সংস্কৃতি আপন করে ধুমধাম করে বিয়ে করে নেয়। তবে বিয়ে করেও শান্তি নেই! বিয়ের পরে মহিলার দ্বিতীয় স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে কট্টরপন্থীরা। যুবতীর দ্বিতীয় স্বামী নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনা উত্তর প্রদেশের পিলিভীত শহরের দেশনগর এলাকায় হয়েছে। ওই মহল্লায় মোহম্মদ ইসলামের মেয়ে রেশমা থাকত। রেশমা তিন বছর আগে কাশীরাম কলোনির মোহম্মদ রইস এর সাথে বিয়ে করেছিল। বিয়ের কিছুদিন পরেই স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করে মোহম্মদ রইস। প্রায় দিনই করা হত মারধর। এতকিছুর পরে স্বামী শেষে ৫ই এপ্রিল ২০১৯ এ রেশমাকে তিন তালাক দিয়ে দেয়।
এরপর রেশমা তাঁর এলাকার দীপক রাঠৌরের সাথে আলাপ শুরু করে। এরপর দুজনেই একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করতে চায়। রেশমাও আপত্তি না দেখিয়ে হিন্দু ধর্ম আপন করে বুধবার বেরেলির একটি মন্দিরে দীপকের সাথে সাতপাঁকে বাধা পড়ে। রেশমা হিন্দু ধর্ম আপন করে নিজের নাম রানী রাখে। বিয়ের পর থেকেই রেশমার নতুন স্বামী দীপককে কট্টরপন্থীরা প্রাণে মারার হুমকি দিতে থাকে।
দীপক জানায়, রেশমা (রানী) অন্য সম্প্রদায়ের বলেই আমাকে এরকম ভাবে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিয়ের পর অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার সভাপতি পণ্ডিত কেশব শঙ্খধার বলেন, রেশমা সমস্যায় ছিল দীপক তাঁকে সাহায্য করেছে। তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষের এটা সহ্য হচ্ছে না। তাই তাঁরা দীপককে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা দীপক এবং তাঁর পরিবারের পাশে আছি।