আরিয়ান তখন জেলে, শাহরুখকে চিঠি লিখেছিলেন রাহুল গান্ধী।

মাদক-কাণ্ডে ২২ দিন ধরে আর্থার রোড ছেলে ছিলেন শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান। বারবার আদালতে তাঁর জামিন খারিজ হয়েছে। দেশের অন্যতম সুপারস্টারের ছেলে এ ভাবে দিনের পর দিন জেলের অন্ধকারে দিন কাটানো কোনও সাধারণ ঘটনা না। এমনকি ছেলেকে দেখতে জেলেও গিয়েছিলেন অভিনেতা। তাই আরিয়ানের জেল নিয়ে চর্চা কম হয়নি। রাজনৈতিক টানাপোড়েনও সামনে এসেছে। এনসিবি আধিকারিকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ সামনে এনেছেন রাজনৈতিক নেতা। এ সবের মধ্যেই শাহরুখকে চিঠি লিখেছিলেন রাহুল গান্ধী।

সূত্রের খবর, আরিয়ানের জেল হেফাজত হওয়ার দিন কয়েকে মধ্যেই সেই চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ১৪ অক্টোবর সেই চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। তার ঠিক ৬ দিন আগেই আরিয়ানের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। চিঠিতে কংগ্রেস নেতা শাহরুখকে লিখেছিলেন, দেশ আপনার সঙ্গে আছে। মহারাষ্ট্রের শাসক দল শিব সেনা ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির তরফ থেকেও শাহরুখকে সমর্থন করা হয়। শিব সেনা ও এনসিপি উভয় দলই অভিযোগ করে, শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে কেন্দ্র। এমনকি এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকেও নিশানা করা হয়।

উল্লেখ্য, কর্ডেলিয়া প্রমোদ তরণী থেকে মাদক কাণ্ডে শাহরুখ তনয়কে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই আলাদা মাত্রা পেয়েছে মামলাটি। বলিউড তারকা থেকে শুরু করে রাজনীতিকরা, অনেকই শাহরুখের পাশে দাঁড়ান।

নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর তদন্তে মূল অভিযুক্ত ছিলেন আরিয়ান খান। তদন্তকারী আধিকারিকদের অভিযোগ ছিল, শাহরুখ পুত্র মাদকদ্রব্য গ্রহণ করেছিলেন এবং মাদকদ্রব্যের অবৈধ কারবারের জন্য বিদেশে এমন কিছু ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল যারা আন্তর্জাতিক ড্রাগ নেটওয়ার্কের অংশ বলে সন্দেহ করা হয়।

আর্থার রোডের জেলে যে দিন ছেলে আরিয়ানের সঙ্গে প্রথমবার দেখা করতে যান শাহরুখ খান। সেই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই বান্দ্রায় তাঁর বিশালবহুল ‘মন্নত’-এ পৌঁছে যায় এনসিবি। ‘মন্নত’ সহ এলাকার একাধিক জায়গায় যায় তারা। যায় চাঙ্কি পাণ্ডের কন্যা অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডের বাড়িতেও। এই মামলায় অনন্যাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জামিন পেলেও বন্দিদশা পুরোপুরি ঘোচেনি শাহরুখ পুত্রের। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে আদালতে তাঁর জামিনের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু শর্ত পেশ করা হয়েছে। এনসিবি’র শর্ত অনুযায়ী, অভিযুক্ত (আরিয়ান খান) নিম্ন আদালতের বিচারকদের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যেতে পারবেন না। মুম্বই ছাড়ার ক্ষেত্রেও তদন্তকারী অফিসারের কাছে বিশদে জানিয়ে অনুমতি নিতে হবে।  পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.