মোদীজির সঙ্গে এনআরসি নিয়ে কথা হয়েছে, কোনও সমস্যা নেই: হাসিনা

অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ বা এনআরসি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ। এই ঘটনার প্রভাব তাদের উপর পড়বে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় ছিল ঢাকা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর দেশবাসীকে আশ্বস্ত করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বললেন, এনআরসি নিয়ে কথা হয়েছে, সব কিছু ঠিক আছে।

এই মুহূর্তে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে দিল্লিতে রয়েছেন হাসিনা। সেখানেই শনিবার মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন হাসিনা। তার আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপরেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানান, “মোদীজির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সব কিছু ঠিক আছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন এর প্রভাব বাংলাদেশের উপর পড়বে না। এর ফলে কোনও সমস্যা হবে না।”

গত সপ্তাহে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হাসিনা। সেখানে তিনি মোদীকে জানিয়েছিলেন অসমে এনআরসি হওয়ার পর থেকে চিন্তায় রয়েছেন বাংলাদেশের মানুষ। এর প্রভাব তাঁদের দেশে পড়বে কিনা, তা নিয়ে তিনিও চিন্তিত। এই প্রসঙ্গে মোদী তখনও তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন, ভারত-বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ সম্পর্ক খুব ভাল। সুতরাং এই বিষয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কোনও দরকার নেই।

যদিও সম্প্রতি কলকাতায় এন আরসি নিয়ে বৈঠক করতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, যাঁরা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছেন, তাঁদের খুঁজে বের করে ফেরত পাঠানো হবে।

এই মুহূর্তে অসমে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষ এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। তাঁদের কাছে বৈধ কাগজ নেই বলেই জানানো হয়েছে। এরপরেই কপালে ভাঁজ পড়ে বাংলাদেশ প্রশাসনের। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি যাঁদের তালিকায় নাম নেই, তাঁদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যদিও ভারতের তরফে জানানো হয়, এটা নিজেদের দেশের ব্যাপার। এর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক নেই।

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল জানিয়েছেন, তাঁরা ভারতের কথায় বিশ্বাস করছেন। কিন্তু দিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় তিস্তা সংক্রান্ত চুক্তির কথা থামিয়ে এনআরসি নিয়েই আলোচনা হবে। এই বিষয়ে পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে চায় বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.