উৎপাদন খরচের চেয়ে অপরিহার্য ওষুধের মূল্য অনেক বেশি:বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক মূল্যায়নে দেখা গেছে ভারতের ৪০% শতাংশ অপরিহার্য ওষুধের দাম তাদের উৎপাদন মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। ক্যানসার,হেপাটাইটিস-সি ও অন্যান্য রোগের ওষুধের দাম যেমন অনেকের নাগালের বাইরে তেমনি এইচআইভি,ম্যলেরিয়া বা টিবির মতো রোগের, দীর্ঘদিনের পেটেন্ট আছে এমন ওষুধের দামের সঙ্গে তাদের উৎপাদন খরচের ফারাকও অনেকটাই।

ভারতের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খরচএর ৭৫% ব্যয় হয় ওষুধের জন্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে সরকারি দরপত্র অনুযায়ী ভারতে জেনারিক ওষুধের মূল্য অনেক ক্ষেত্রেই সংস্থার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম। কিন্তু উচ্চ মূল্যের ওষুধগুলি কেবলমাত্র খোলা বাজারে পাওয়ার ফলে সাধারন মানুষকে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়।

ভারত বিশ্বের মধ্যে স্বল্প মূল্যের জেনারিক ওষুধ নির্মাণের কেন্দ্র হলেও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খরচ মানুষকে দারীদ্রের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে কেবল ওষুধের উচ্চ মূল্যের কারণে।

গত সপ্তাহে জোহানেসবার্গে স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা আয়োযিত একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে ওষুধের সহজলভ্যতা এবং ন্যায্য দাম নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ক্রেতাদের আরো সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ দেওয়ার জন্য গবেষণা ও উন্নয়নের খরচের পাশাপাশি ওষুধের উৎপাদন মূল্য সম্পর্কে আরও স্বচ্ছতার জন্য সরকার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়।

ভারতে ওষুধের বাজার মূল্য উৎপাদন খরচর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। দুর্ভাগ্যবশত, ন্যাশনাল প্রাইসিং রেগুলেশনটি ২০১৩ সালে ব্যয়-যুক্ত প্রক্রিয়া থেকে স্থানান্তরিত হয়ে বাজার-ভিত্তিক পদ্ধতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। যদিও অল ইন্ডিয়া ড্রাগস অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (এআইডিএএন) এটিকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.