কার্গিল যুদ্ধের সময় সেনার মনোবল বৃদ্ধি করতে টাইগার হিল পৌঁছেছিলেন নরেন্দ্র মোদী: কুশাল ঠাকুর, প্রাক্তন সৈন্য আধিকারিক।

কার্গিল যুদ্ধের এক সৈনিক তথা পূর্ব সৈন্য অধিকারি দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর বড় বক্তব্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিন সৈন্য আধিকারিক জানান, টাইগার হিলকে জয় করার দ্বিতীয় দিনে নরেন্দ্র মোদী সেনার মনবোল বাড়াতে সেখানে পৌঁছেছিলেন। কার্গিল যুদ্ধে অংশ নেওয়া রিটায়ার্ড ব্রিগেডার কুশাল ঠাকুর নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে ওকে বিবৃতি দেন। কুশাল থাকুর বলেন, টাইগার হিলকে জয় করার ১ দিন পরেই নরেন্দ্র মোদী সেখানে পৌঁছে ছিলেন। সেই সময় নরেন্দ্র মোদী কোনো পদে ছিলেন না। শুধুমাত্র সেনার মনোবল বৃদ্ধি করতে সেনার কাছে পৌঁছেছিলেন নরেন্দ্র মোদী” সৈন্য আধিকারি রিটায়ার্ড ব্রিগেডার কুশাল ঠাকুর আরো বলেন, নরেন্দ্র মোদী দেশের সুরক্ষা নিয়ে কতটা সচেতন সেটা এই ঘটনা থেকেই আন্দাজ করা যায়। কোনো পদে না থাকা সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদী দেশের সেনার কাছে ছুটে গেছিলেন।

এটা দেশের সুরক্ষার প্রতি নরেন্দ্র মোদীর সংবেদনশীলতাকে প্রদর্শিত করে। কুশাল ঠাকুর হিমাচল রেজিমেন্ট গঠনের জন্যেও জোর দেন। কুশাল ঠাকুর বলেন, নরেন্দ্র মোদীর টাইগার হিল যাত্রা সেই সময় রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা নিয়ে উনার চিন্তাকে ব্যাক্ত করে। উনি সেই সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী বা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন না। কোনো আধিকারিক পদে না থেকেও সেনার জওয়ানদের কাছে ছুটে যাওয়া দেশের প্রতি উনার নিস্থাকে পরিদর্শন করে। নরেন্দ্র মোদী ১৯৯৯ সালের ৫ ই জুলাই টাইগার হিল যাত্রা করেছিলেন বলে জানান কুশাল ঠাকুর।

ঠাকুর সেই সময় ১৮ গ্রেনেডিয়ার ইউনিটের কামান্ডিং অফিসার ছিলেন। ওই সময় মোদী  হিমালচল প্রদেশ বিজেপির প্রভারী ছিলেন। ঠাকুর আরো বলেন, নরেন্দ্র মোদীর ৫ বছরে দেশের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বিদেশনীতির অনেক পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। দৃড় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি থাকার জন্য নরেন্দ্র মোদীর সরকার আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে বড় সাফল্য পেয়েছে। আতঙ্কবাদের উপর জিরো টলারেন্স নীতি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকের মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে।

কুশাল ঠাকুর বলেন, ১৯৯০ সালের দিকে পাকিস্তান প্রক্সি ওয়ার করতো। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত পাকিস্তানের সেনাকে আক্রমন করতাম না যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা LOC ক্রস করে। কিন্তু এখন সরকারের ইচ্ছাশক্তির দরুন সেনার হাত খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এই প্রথমবার আমাদের সেনা LOC এর পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে শত্রুকে মেরে এসেছে। কুশাল ঠাকুর কংগ্রেসের ঘোষণা পত্রের আক্রমন করে সেটাকে আত্মঘাতী ঘোষণাপত্র বলে উল্লেখ করেন।  জম্মু কাশ্মীরে আর্মড ফোর্স স্পেশাল পাওয়ারকে মুছে দিলে তা দেশের জন্য বিপদজনক হবে বলে মত প্ৰকাশ করেন রিটায়ার্ড ব্রিগেডার কুশাল ঠাকুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.