জৈইশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের উত্থানের পিছনে গুরুত্বপূর্ন অবদান রয়েছে গুজরাতের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের এক মৌলবীর সাহায্যের সন্ত্রাসের জন্য অর্থ জোগারে সমর্থ হয়েছিল মাসুদ আজহার। সেই অর্থেই ভারত বিরোধী একাধিক ক্রিয়াকলাপ চালিয়েছে মাসুদ আজহার।
কাশ্মীরে অস্থিরতা বজায় রাখতে এবং ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলা ঘটানোর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের দরকার চবিল মাসুদের। সেই অর্থের অনেকটাই এসেছিল ইংল্যান্ড থেকে। এছাড়াও সন্ত্রাসের জন্য অর্থের সন্ধানে আফ্রিকা এবং গলফ দেশগুলিতে গিয়েছিল সে। তবে মূলত ইংল্যান্ড থেকে পাওয়া টাকাতেই ভারতে সন্ত্রাস চালায় মাসুদ।
২০০১ সালে সংসদ ভবে হামলা এবং গত মাসে পুলওয়ামায় হামলার পিছনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল মাসুদের আজহারের সংগঠন জৈইশ-ই-মহম্মদ। ১৯৯৪ সালে বোইধ পাসপোর্ট নিয়ে মাসুদ আজহার প্রথম ভারতে আসে। পাকিস্তানের সিলমোহর দেওয়া সেই পাসপোর্ট নিয়ে তার আগে সে সৌদি আরব সারজা সহ নানান দেশে গিয়েছিল। ১৯৯২ সালে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।
রানির দেশে রাজধানী শহরে মুফতি সিমাইল নামের এক মৌলানার সঙ্গে আলাপ হয় মাসুদের। লন্ডনের সাউথলের এক মসজিদের মৌলানা ছিল সে। ভারতের গুজরাতে জন্মা নেওয়া মুফতি সিমাইল বড় হয়েছিল পাকিস্তানের করাচিতে। সেখানেই এক মাদ্রসায় লেখাপড়া করে সে। এই উফতি সিমাইলের সাহায্যর লন্ডন সহ ইংল্যান্ডের অনেক মসজিদে যায় মাসুদ আজহার। সেখানেই ভারতে জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য টাকা তোলে সে। সেই অর্থের পরিমাণ ছিল পাকিস্তানী মুদ্রায় ১৫ লক্ষ। যা ভারতে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট ছিল না। তবুও সেই অর্থের ভারত বিরোধী অভিযান শুরু করে মাসুদ আজহার।