নয়াদিল্লি: নতুন চেহারায় দেখা যেতে পারে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে৷ রিপোর্ট বলছে, নতুন উর্দিতে খুব তাড়াতাড়িই দেখা যাবে জওয়ানদের৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, আবহাওয়া অনুযায়ী উর্দি তৈরি করা হবে৷ যাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন জওয়ানরা৷ উর্দির অতিরিক্ত ভার তাঁদের বইতে না হয়৷
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এক এক রকম আবহাওয়া৷ কিন্তু জওয়ানদের উর্দি একই রকম৷ জি নিউজে প্রকাশিত এক রিপোর্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে উদ্ধৃত করেছে৷ জানিয়েছে, আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কথা মাথায় রেখে উর্দি তৈরি করা হবে জওয়ানদের৷ অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় কী ধরণের পোশাক পড়বেন জওয়ানরা, তা ভেবে দেখা হচ্ছে৷
বর্তমান উর্দি টেরিকট ফাইবার দিয়ে তৈরি৷ যা বেশ গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় একেবারেই খাপ খায় না৷ এই ধরণের আবহাওয়ায় জওয়ানদের জন্য পুরোপুরি সুতির পোশাকের কথা ভাবা হয়েছে৷ কিন্তু সূত্রের খবর, সুতির পোশাক সহজেই নষ্ট হয়ে যায়৷ বারবার তা পালটে দেওয়া সম্ভব নয়৷ তবে এই বিষয়টা মাথায় রাখা হলেও, প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে জওয়ানদের স্বাচ্ছন্দের বিষয়টি৷
জানানো হয়েছে নতুন পোশাকে স্ট্রিপ কোথায় বসানো হবে, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে৷ বর্তমানে স্ট্রিপগুলি থাকে জওয়ান ও পদাধিকারীদের কাঁধে, তাঁদের পদের গুরুত্ব অনুযায়ী৷ কিন্তু নতুন উর্দিতে তা সামনে বোতামের জায়গায় বসানো হতে পারে৷ বদলাতে পারে উর্দির রং ও প্যান্টের রংও৷
এখন উর্দির ওপর দিয়ে বেল্ট পরতে দেখা যায় জওয়ানদের৷ সেই ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আনার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে৷ সূত্রের খবর এই বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর পোশাক নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে, যাতে উচ্চমানের পোশাক পায় ভারতীয় সেনা৷
এই নিয়ে তৃতীয়বার ভারতীয় সেনার উর্দি পরিবর্তন করা হতে চলেছে৷ স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই প্রথমবার সেনার উর্দি পালটানো হয়৷ যাতে পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে উর্দির পার্থক্য করা যায় ভারতীয় সেনার৷ খাদি পোশাক অপরিবর্তিত থেকে যায় পাকিস্তানি সেনার৷ ভারতীয় সেনা নিজের উর্দি বদলে নেয়৷
দ্বিতীয় বার ১৯৮০ সালে ভারতীয় সেনার পোশাকের রদবদল নিয়ে আসা হয়৷ এর পোশাকি নাম দেওয়া হয়, ডিসরাপটিভ প্যাটার্ন ব্যাটল ড্রেস৷ এটি বানানো হয়েছিল পলিস্টার ফ্যাব্রিক দিয়ে। উত্তাপের সঙ্গে ও আর্দ্রতার সঙ্গে একেবারেই খাপ খেত না এই কাপড়ের উর্দি৷ এরপর ২০০৫ সালে এই ‘ডিসরাপটিভ প্যাটার্ন ব্যাটল ড্রেসের মধ্যে সামান্য কিছু বদল আনা হয়৷ যাতে ভারতীয় সেনাকে বিএসএফ ও সিআরপিএফের জওয়ানদের থেকে আলাদা ভাবে বোঝা যায়৷