বেসরকারি ক্ষেত্রের চাকরিজীবীদের পেনশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত জানাল সুপ্রিম কোর্ট ৷ বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতদের পেনশন বৃদ্ধির পথ সহজ হয়ে গেল৷ কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন (ইপিএফও)-এর আর্জি খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেরল হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল৷ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ এদিন ইপিএফও-র আবেদন খারিজ করে দেয়।
কেরল হাইকোর্ট ইপিএফও-কে কর্মচারীদের অবসরের পরে তাদের পুরো বেতন অনুযায়ী পেনশন হিসেব করার নির্দেশ দিয়েছিল৷ বর্তমানে প্রত্যেক মাসে সর্বাধিক ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছিল ইপিএফও। সোমবার এই বিষয়ে রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যাঁরা ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ পর থেকে চাকরি করা শুরু করেছেন তাঁরা পুরো বেতনের উপরে পেনশনের সুবিধা পাবেন৷
তবে নয়া নিয়ম চালু হলে পেনশন বাড়লেও কমবে প্রভিডেন্ট ফান্ড। বাড়তি টাকা জমা হবে পেনশনের খাতে। তবে প্রভিডেন্ট ফান্ড কমার প্রভাব খুব একটা বোঝা যাবে না। এর কারণ, তার চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকা জমা হবে পেনশন খাতে।
১৯৯৫ সালের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম (ইপিএস) অনুসারে এর আওতাভুক্তরা প্রতি মাসে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা পেনশন পান। ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকেই এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আমৃত্যু তিনি তা পাবেন। তবে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের (এনপিএস) আওতায় যেসব গ্রাহক রয়েছেন, তাঁদের ন্যূনতম পেনশনের ক্ষেত্রে কোনওরকম ঊর্ধ্বসীমা নেই।
এই মুহূর্তে দেশের যেসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে কর্মীসংখ্যা কমপক্ষে ২০ জন, সেই সংস্থা-প্রতিষ্ঠানগুলি কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের আওতায় থাকে। তাদের যে কর্মচারীদের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে এই সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ইপিএফের আওতায় থাকেন। প্রতি মাসে একজন ইপিএফ গ্রাহক তাঁর মূল বেতন (বেসিক স্যালারি) এবং মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) ১২ শতাংশ অর্থ ইপিএফ খাতে জমা দেন কন্ট্রিবিউশন হিসেবে। এবং ওই কর্মীর হয়ে তাঁর সংস্থা-প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আরও ১২ শতাংশ অর্থ ইফিএফ অ্যাকাউন্টে কন্ট্রিবিউট করে। সেই ১২ শতাংশের মধ্যে ৩.৬৭ শতাংশ যায় সংশ্লিষ্ট কর্মীর ইপিএফ খাতে। আর বাকি ৮.৩৩ শতাংশ যায় তাঁর পেনশন অ্যাকাউন্ট বা ইপিএস খাতে।