পেট্রোল ডিজেল সম্পর্কিত সামনে এল বড় খবর! ভারতে পাওয়া গেল বিপুল তেলের ভাণ্ডার।

বিগত কিছু সময় ধরে বিশ্বে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি নিজেদের লভ্যাংশ কম করে সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত খরচের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। এমনকি বেশকিছু নীতি পরিবর্তনের উপর কাজ করে দেশে পেট্রোল ডিজেলের দামকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের পরিবহন মন্ত্রণালয় নিতিন গডকড়ী এর নেতৃত্বে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ উঠিয়েছে তা  অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এখনো লাগাতার দেশে পেট্রোল ডিজেলের মূল্য হ্রাসের কাজ চলছে। বিগত সপ্তাহে পেট্রোলের মূল্যে ১১ পয়সা এবং ডিজেলের মূল্য ৮ পয়সা কম করা হয়েছে।

তবে এখন একটা বড় খবর সামনে আসছে যা দেশবাসী এবং ভারত সরকারকে অনেকটা সস্থি দেবে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ভারতেই তেলের ভান্ডার খুঁজে বের করেছেন। মুম্বাই হাই এর পশ্চিম প্রান্তে নতুন তৈল ক্ষেত্রের অনুসন্ধান পাওয়া গেছে। একইসাথে পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশে নতুন গ্যাস ও তৈল খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। ভারত এখন খনিজ তেলের জন্য ইরান ও অন্য খাড়ি দেশগুলির উপর নির্ভর করে। কিন্তু আমেরিকা লাগাতার ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা কড়া করেই চলেছে। ভারত তার ব্যাপক কূটনৈতিক শক্তি কারণে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল আমদানি করতে সক্ষম হচ্ছে। তবে কম মূল্যে বেশিদিন ইরান থেকে তেল আমদানি কঠিন হয়ে উঠতে শুরু হয়েছে

এই কারণে দেশকে জ্বালানির অন্য বিকল্প খুঁজতে হচ্ছে। বর্তমানে আখের রস থেকে ইথানল তৈরির মাধ্যমে তা খনিজ তেলের সাথে বিশেষ অনুপাতে মিশিয়ে ভারত নিজের অনেক খরচ বাঁচিয়েছে। এই পরিকল্পনা নিতিন গডকড়ী এই নেতৃত্বে ভারতে চালু করা হয়েছে। এর ফলে দেশের কৃষিকাজের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে এবং অতিরিক্ত খরচ বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে। অন্যদিকে পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ি কমিয়ে দেশে ইলেক্ট্রিক ও ডিজেল চালিত গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো কাজ চলছে। সাথে সাথে ONGC এর বিজ্ঞানীরা নতুন তৈল ক্ষেত্র অনুসন্ধান করার যে কাজ শুরু করেছিল তাতে বড় সাফল্য হাত লেগেছে।

এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানান, WO-23 কুয়োর খোঁজ করা হয়েছে। যেখানে প্রায় ২ কোটি টন তেলের ভান্ডার থাকার অনুমান রয়েছে। আধিকারিক জানান ৯ টি ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। ONGC এর কার্যকর্তাদের মতে এটা একটা বড় খোঁজ যার মাধ্যমে খাড়ি দেশগুলির উপর ভারতের নির্ভরতা কমবে। দেশে জ্বালানির উৎপাদন বেশি হলে দেশের টাকা দেশেই থাকবে এবং অন্য ক্ষেত্রের বিকাশ করা সম্ভব হবে। একইসাথে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি থেকে ভারতের জনতা মুক্তি পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.