দেশজুড়ে শুরু করোনার টিকাকরণ

আজ থেকে দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু। রাজ্যে-রাজ্যে প্রশিক্ষিত নির্ধারিত হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে করোনার টিকা দেবেন। প্রথম দফায় প্রায় ৩ কোটি মানুষকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রথম দফায় করোনার টিকা পাচ্ছেন।

ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাদেরই আগে টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ৩ কোটি মানুষকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আজ থেকে টিকা দেওয়া শুরু। তালিকায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর আরও ২৭ কোটি ভারতীয় নাগরিককে করোনার টিকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে যাঁদের বয়স ৫০ বছরের বেশি তাঁরা পাবেন অগ্রাধিকার। তারপরে ৫০ বছরের কম অথচ যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরা করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

করোনা নিয়ন্ত্রণে দুটি ভ্যাক্সিনকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। একটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড যা তৈরি করেছে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট ও অন্যটি ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর তৈরি কোভ্যাক্সিন।

ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আওতাধীন এই মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে তবে ভ্যাকসিন পেতে পারেন মানুষ বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করতেই হবে।

কেন্দ্রের দেওয়া ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ১৮ বছর ও তার ঊর্দ্ধের ব্যক্তিদেরই করোনার ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। ভ্যাক্সিন ডোজের মধ্যে কমপক্ষে ১৪ দিনের ফারাক রাখতে হবে। ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজটি, প্রথম ডোজের কোম্পানিরই হতে হবে। অন্য কোনও কোম্পানির হলে চলবে না। ভ্যাক্সিনের ইন্টারচেঞ্জ করা চলবে না। যাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে বা করোনা টিকার প্রথম ডোজের পর অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি হয়েছে, তারা দ্বিতীয় ডোজ পাবেন না।

একইসঙ্গে গর্ভবতী মহিলা ও শিশু দুধ পান করে এমন মায়েদের এই মাস ভ্যাক্সিন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া চলবে না। যে সব রোগি করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁদের সুস্থ হওয়ার নির্দিষ্ট দিন থেকে ৪-৮ সপ্তাহ পরে ভ্যাক্সিন দেওয়া যেতে পারে। যাঁরা করোনা আক্রান্ত ও অ্যাকটিভ লক্ষ্মণ রয়েছে, তাঁদেরও চার থেকে আট সপ্তাহ পরে ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে।

এছাড়াও করোনা আক্রান্ত রোগী, যাঁদের চিকিৎসা চলাকালীন SARS-CoV-2 monoclonal antibodies বা covalescent plasma দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে। যাঁরা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, আইসিইউতে রয়েছেন বা নেই, তাঁদের টিকা এখনই দেওয়া যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.