দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা। চাঙ্গা করা অর্থনীতিকে। এই দু’টি কারণে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। তিনি নিজে এবার গুজরাতের গান্ধীনগর থেকে প্রার্থী হয়েছেন। মঙ্গলবার আমেদাবাদ শহরের নারানপুরা অঞ্চলে এক বুথে সঙ্গে ভোট দেন অমিত। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সোনাল শাহ।
ভোট দেওয়ার পরে অমিত বলেন, দেশে তৃতীয় দফা ভোটে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। আমি শুনেছি, এদিন গুজরাতের ২৬ টি আসনেই মানুষ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিচ্ছেন।
মানুষকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার একটি ভোট দেশের সুরক্ষাকে জোরদার করতে পারে। আপনার একটি ভোটে দেশ হয়ে উঠতে পারে সমৃদ্ধ।
তরুণ ভোটারদের আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, যাঁরা প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন, তাঁরা যেন মনে রাখেন, দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্যই ভোট দেওয়া প্রয়োজন। দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা যাতে আরও শক্তিশালী হয়, অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে ওঠে, সেজন্যই ভোট দেওয়া উচিত।
ভোট দেওয়ার পরে অমিত যান কামেশ্বর মহাদেব মন্দিরে। মন্দিরটি ভোটকেন্দ্রের কাছেই অবস্থিত। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন আমেদাবাদের রানিপ অঞ্চলে ভোট দিতে যান, তখন অমিত তাঁর সঙ্গে ছিলেন। মঙ্গলবার গুজরাতের সব কেন্দ্রেই ভোট হচ্ছে।
অমিত শাহ এবার যে কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন, সেই গান্ধীনগরে একসময় প্রার্থী হতেন বিজেপির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম লালকৃষ্ণ আডবাণী। এবার ওই কেন্দ্রে অমিত শাহের বিরুদ্ধে আছেন কংগ্রেসের সি জে চাভদা। তিনি দু’বার বিধায়ক হয়েছেন। অমিত শাহের বিরুদ্ধে তাঁকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বলেই মনে করা হচ্ছে।
গান্ধীনগরে একসময় কংগ্রেস প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার টি এন শেষণ এবং অভিনেতা রাজেশ খান্নার মতো হাই প্রোফাইল প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছিল। এই কেন্দ্র থেকে ছ’বার জিতেছেন আডবাণী। এবার তিনি ভোটে প্রার্থী হননি। ৯১ বছরে আডবাণী এখন বিজেপির মার্গদর্শকমণ্ডলীর সদস্য।
গান্ধীনগর কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ২১ হাজার। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেগুলি হল, গান্ধীনগর নর্থ, কালোল, সানন্দ, ঘাটলোদিয়া, ভেজালপুর, নারানপুরা ও সবরমতি। এর মধ্যে ঘাটলোদিয়া, ভেজালপুর, নারানপুরা, সবরমতি ও সানন্দ শহুরে অঞ্চলে অবস্থিত। ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে ওই আসনগুলি পেয়েছিল বিজেপি। বাকি দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে শহর যেমন রয়েছে, তেমনই আছে গ্রাম। সেগুলি পেয়েছিল কংগ্রেস।