সকাল ৯ টা… 

ওরঙ্গজেব রোড, সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের দিল্লি আবাস। সর্দার প্যাটেলের দীর্ঘদিনের অভ্যাস সকাল সকাল ওঠার, তাই আবাসিকরাও তৎপর। ফলে খুব সকালে যখন যোধপুরের মহারাজের গাড়ি বাংলোর মধ্যে আসে, তখন তাঁর আপ্যায়নের কোন অভাব হয়নি।যোধপুরের মহারাজ শ্রীযুক্ত হনুমান্থ সিংহ, রাজপুতানার সবথেকে বড় রাজ্যের রাজা যার পারিবারিক ইতিহাস ৭০০ বছরের। ৩৬ হাজার বর্গমাইল এলাকাসহ ২৫ লক্ষ মানুষ নিয়ে গঠিত যোধপুর রাজ্য।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যবর্তী এই রাজ্যের উপর প্রলুপ নজর ছিল জিন্নার। বি কে মেনন ও জিন্নার প্রচেষ্টা, যোধপুর রাজ্যের অবস্থান ও সর্বোপরি হনুমান সিংহের স্বাধীন থাকার ইচ্ছে সবটাই সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল কে জানানোর পর সরদার প্যাটেল মহারাজকে নিজ আবাসনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সরদার প্যাটেল মহারাজ কে সঙ্গী করে বসার ঘরের বসালেন। প্রাথমিক আনুপচারিক কথাবার্তার পর সরদার প্যাটেল সরাসরি বিষয়ে এলেন। 

বল্লভ ভাই প্যাটেলঃ “শুনলাম আপনি লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে দেখা করেছেন, কি চর্চা হলো?”

শ্রী হনুমান্থ সিংহঃ “দেখা হয়েছে কিন্তু বিশেষ কিছু কথা হয়নি।”

সর্দারঃ “কিন্তু আমি শুনলাম আপনি জিন্নার সাথেও দেখা করেছেন এবং স্বাধীন থাকার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।”

শ্রী হনুমান্থ সিংহঃ “রাজসীক মেজাজে, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। যোধপুর স্বাধীন রাজ্য হয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবে। 

সরদার প্যাটেলঃ “যদি আপনি স্বাধীন থাকতে চান তবে ঠিক আছে, কিন্তু আপনার এই সিদ্ধান্তের পর যোধপুর রাজ্যে যদি কোন বিদ্রোহ হয় তবে ভারত সরকার থেকে কোন সাহায্য আশা করবেন না।”

প্রশান্ত পোল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.