কোভিড হওয়ার পর কত দিন নিভৃতবাসে থাকা উচিত? কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা

কোভিড হওয়ার পর বহু মানুষ বাড়িতেই নিভৃতবাসে থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৩-৫ দিনের মধ্যে শরীরে সংক্রণ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে অবশ্য সেটা ১০ থেকে ১২ দিন পরও হতে পারে। কোভিড পরীক্ষার ফল পজিটিভ এলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকার উপদেশ দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। তবে এখন যেহেতু কোভিড রিপোর্ট আসতে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে, তাই উপসর্গ দেখা গেলেই বাড়ির অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে যেতে বলছেন চিকিৎসকেরা।

কারা বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকতে পারেন

যাঁদের কোভিডের মৃদু বা সামান্য বেশি উপসর্গ রয়েছে, তাঁরা বাড়িতেই আলাদা থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। তবে দেখাশোনার জন্য অন্য একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের উপস্থিতি এবং নিয়মিত নজরদারি থাকা আবশ্যিক। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে সর্বক্ষণ।


কতদিন নিভৃতাবাসে থাকা প্রয়োজন

সাধারণত উপসর্গ দেখা দিলে তার ১৪ দিন পর থেকে রোগীকে সুস্থ বলে ধরে নেওয়া হয়। আগে পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার ১৪ দিনের মাথায় ফের আরটি-পিসিআর টেস্ট করিয়ে নেগেটিভ এলে নিভৃতবাস থেকে বেরনোর উপদেশ দিতেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এই মুহূর্তে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এতটাই নাজেহাল সকলে, যে আরটি-পিসিআর টেস্টের চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই উপসর্গ দেখা না গেলে দ্বিতীয় পরীক্ষাটি করতে মানা করছেন চিকিৎসকেরা। তা হলে কী করে বুঝবেন কী করণীয়? যাঁদের উপসর্গ নেই, তাঁরা রিপোর্ট পাওয়ার ১০ দিন পর ঘর থেকে বেরোতে পারেন। এই সংক্রমণের এক অন্যতম উপসর্গ জ্বর। যদি কোনও ওষুধ ছাড়া টানা ৩ দিন জ্বর না থাকে, তা হলেও ধরে নিতে পারেন, আপনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৪ দিন পর শরীরে ভাইরাস মরে যায়, তাই ১৪ দিনের পর নিভৃতবাস থেকে বেরনো যেতে পারে। তবে যাঁদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম, তাঁদের আরও বাড়তি কিছুদিন আলাদা থাকতে বলতে পারেন চিকিৎসকেরা। সাধারণত, ১৭ দিনের পর থেকে ঘর থেকে বেরনো এবং ঘরের অন্য কাজ করা সম্ভব বলে ধরা নেওয়া হয়।

বাড়ির অন্যেরা কতটা নিরাপদ

উপসর্গ মিলিয়ে যাওয়ার পর শরীরে ভাইরাল লোড অনেকটাই কমে যায় এবং অন্যকে সংক্রমিত করার সম্ভবনায়ও প্রায় থাকে না বলা যেতে পারে। চিকিৎসকেরা সাবধানী হয়ে আরও দিন সাতেক মাস্ক পরা এবং নিয়মিত স্যানিটাইজেশনের পরামর্শ দিচ্ছেন।

কেয়ারগিভারের কী করণীয়

যিনি সারাক্ষণ রোগীর দেখাশোনা করছেন, তাঁর ও সংক্রমিত হওয়ার এবং বাকিদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁকেও ওই ক’দিন বাকিদের থেকে আলাদা থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.