মহামারীর আবহেও পরোপকার! একমাসে পাঁচটি দেশে ২৩ লক্ষ PPE রপ্তানি করেছে ভারত

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় অন্যতম অস্ত্র ‘পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট’বা PPE। আণুবীক্ষণিক জীবের মরণ কামড় থেকে এই পোশাকই রক্ষা করে স্বাস্থ্যকর্মীদের। ভারতে যখন করোনা মহামারী প্রথম থাবা বসালো, তখন এদেশের মাটিতে PPE কিট তৈরিই হত না। কিন্তু গত চারমাসে ছবিটা অনেকটা পালটে গিয়েছে। ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পিপিই প্রস্তুতকারী দেশ। এবং দেশের অভ্যন্তরের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বহু PPE কিট বিদেশে রপ্তানি করার মতো জায়গাতেও পৌঁছে গিয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, শুধু জুলাই মাসে বিশ্বের পাঁচটি দেশে প্রায় ২৩ লক্ষ পিপিই কিট রপ্তানি করেছে ভারত। যে পাঁচ দেশে রপ্তানি করা হয়েছে সেগুলি হল, আমেরিকা, ব্রিটেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সেনেগাল এবং স্লোভানিয়া। শুধু পিপিই নয়, এর পাশাপাশি N-95 মাস্ক, ভেন্টিলেটর এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীও রপ্তানি করা শুরু হয়েছে। আসলে করোনা মহামারীর প্রকোপ যত বাড়ছে, বিশ্বের বাজারে PPE-সহ অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর চাহিদাও ততই বাড়ছে। আর সেই বাজার ধরতেই ভারতীয় সংস্থাগুলি আরও বেশি বেশি চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদন করছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) তো বলেই দিয়েছেন, ভারত এমন একটা দেশ যেটা কিনা এই মহামারীর আবহেও অন্যদের পাশে দাঁড়াবে।


কিন্তু প্রশ্ন হল, মাস কয়েক আগেও ভারতের মাটিতে PPE তৈরি হত না। দেশের প্রয়োজনে চিন থেকে নিম্নমানের কিটও আনতে হয়েছে। সেই দেশ এখন কোন যাদু মন্ত্রবলে ভিন দেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম রপ্তানি করছে? কেন্দ্র বলছে, এসবই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ মিশনের কামাল। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এই মহামারীকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রক, বস্ত্র মন্ত্রক, DRDO এবং DPIIT চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদন ক্ষমতা ব্যপক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। তাছাড়া কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিও PPE, N-95 মাস্ক-সহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে উৎসাহ দিচ্ছে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে। আর সেজন্যই আজ করোনার চিকিৎসা ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর’ হয়েছে ভারত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.