আজ আমরা এমন এক ব্যাক্তির সম্বন্ধে পাঠকদের জানাবো যিনি তার সম্পূর্ণ জীবন ভারতীয় সংস্কৃতির জন্য সমর্পিত করেছেন। উপরে যে ব্যক্তির ছবি দেখছেন উনার নাম কৃষ্ণা ভাট, উনি কর্ণাটকের বাসিন্দা এবং উনার বয়স ৮৬ বছর। ইনি একজন মহান শিবভক্ত যিনি তার পুরো জীবন সনাতন ধর্মের সেবার জন্য লাগিয়ে দিয়েছেন। কৃষ্ণ ভাট প্রত্যেকদিন বিশাল ৯ ফুটের শিব লিঙ্গের পূজা করেন। প্রত্যেকদিন উনি শিব লিঙ্গ সাফ করেন এবং বিধি মেনে মন্ত্র পাঠ করে পুজো করেন।
কর্ণাটক ও তার আশেপাশের এলাকা জুড়ে বিশাল হিন্দু সাম্রাজ্য ছিল। ওই সাম্রাজ্যকে বিজয়নগর সাম্রাজ্যও বলা হতো। বিজয় নগর সাম্রাজ্যে বহু গৌরবশালী মন্দির ছিল এবং এই শিবলিঙ্গ ওই আমলের। পরবর্তীকালে বিদেশী আক্রান্তকারী শক্তি ঢুকে যাওয়ার কারণে মন্দিরগুলোতে পুজো বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে মুঘল(বৈদেশিক মুসলিম) ও ব্রিটিশরা(বৈদেশিক খ্রিষ্টান) হিন্দুদের গোলাম করার উদ্যেশে ভারতীয় সংস্কৃতি ধ্বংস করার উপর কাজ করেছিল।
যে শিবলিঙ্গের পূজা কৃষ্ণ ভাট করেন সেটা কর্ণাটকের হামপিতে অবস্থানরত। বাহমনি সুলতান আক্রমনকারীরা এই মন্দিরের উপর আক্রমণ করেছিল এবং মন্দিরের উপরের অংশ ভেঙে ফেলেছিল। কিন্তু শিবলিঙ্গ নিচে থাকায় সেটা সুরক্ষিত ছিল। ইংরেজরা(বহিরাগত খ্রিস্টান) এসে ভারতের সংস্কৃতি নষ্ট করার উপর এবং লুটপাট চালানোর উপর আরো জোর দেয়। মোট ৪৫০ বছর শিবলিঙ্গের পূজা করা হয়নি। এরপর ভারত স্বাধীন হলে কাঞ্চির স্বামী ওই শিবলিঙ্গের পূঁজা করার সিদ্ধান্ত নেন।
তখন থেকে আজ পর্যন্ত কৃষ্ণ ভাট এই শিবলিঙ্গের পূঁজা করে চলেছেন। বৃষ্টি হোক, রৌদ্র হোক, আনন্দ হোক, দুঃখ হোক সমস্ত পরিস্থিতিতে কৃষ্ণ ভাট শিবলিঙ্গ সাফাই করেন ও পুজো করেন। ১৯৮০ থেকে কৃষ্ণ ভাট এই কাজ করে চলেছেন আর আজ উনার বয়স ৮৬ বছর। কিন্তু এত বয়স্ক হয়েও উনি ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি নিজের কর্তব্য পালন করে চলেছেন। এই মহান শিবভক্ত লোকপ্রিয় হওয়া উচিত যাতে অন্যান্যরা এনার থেকে প্রেরণা নিতে পারে। ভারতীয়রা যাতে নিজের সংস্কৃতি রক্ষার প্রতি আরো সচেতন হতে পারে তার জন্য এমন মহান মানুষের জনপ্রিয় হওয়া খুবই প্রয়োজন।
ওঁ নমঃ শিবায়