“৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ২৩ মে-র পর তাঁরা সরাসরি দলবদল করবেন।” সোমবার শ্রীরামপুরের জনসভায় এভাবেই বোমা ফাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি তথা শ্রীরামপুরে প্রার্থী দেবজিৎ সরকারের সমর্থনে জনসভা করতে এসেছিলেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি বলেন, “কমপক্ষে তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ‌যারা ২৩ মে ফলাফল ঘোষণার পরেই দলবদল করবেন।”

ঘঠনাচক্রে দিন কয়েক আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিজেপি নেতা মুকুল রায় দাবি করেছিলেন ১১০ থেকে ১২০ জন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় এলে, আগামী নভেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের নতুন সরকার ক্ষমতায় আসবে। তারপরেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে। এদিন প্রধানমন্ত্রী যেন মুকুলের সেই দাবিতেই শিলমোহর দিলেন মোদি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি এদিন একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “মুখে আপনি সাধারণ মানুষের ভাল করার কথা বলছেন। কিন্তু আপনার আসল লক্ষ্য হচ্ছে নিজের ভাইপোকে গদিতে বসানো। যা কোনদিনও সফল হবে না।”

প্রসঙ্গত, অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন নিজে পছন্দ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কুর্তা ও মিষ্টি পাঠান। সেই কথা প্রকাশ্যে আসার পর বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নিজের অভ্যন্তরীন কৌশল ঢাকা দিতে প্রকাশ্যে নরেন্দ্র মোদিকে মাটির ও ইটের মিষ্টি পাঠাবেন বলে কটাক্ষ করেন মমতা। তাঁর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন “আপনার যত ইচ্ছা ইট কাকড় নিক্ষেপ করুন আমাকে। তাতেও আপনার উদ্দেশ্য সফল হবে না। বাংলার মানুষ তাদের অধিকার পেয়ে ছাড়বে।”

নীল রায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.