মহীশুরের একটি আবাসিক এলাকায় অবৈধ মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করার কারনে আরএসএস কর্মী কায়াতমারানহাল্লি রাজু কে ২০১৬ সালে দিনের আলোয় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিলেন। আতীখ আহমেদ ও তার দলবল এই ঘটনায় যুক্ত ছিল।
মহীশুর পুলিশ ৩ বছর ধরে অপরাধীদের নজরদারি চালিয়ে অবশেষে আতীখ আহমেদ ওরফে ‘টিম্বার আতীখ’ কে ২ দিন আগে.আটক করেছে।ছিল।রাজু যখন একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন পাঁচ জনের একটি সশস্ত্র দল তার উপর হামলা চালায় ও হত্যা করে। রাজু এলাকার হিন্দুদের অবৈধ মসজিদ নির্মাণের কথা বলে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে যুক্ত ছিল।
মহীশুরের পুলিশ অবশেষে সেই কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। সে মহীশুরের আরএসএস কর্মীর হত্যার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছিলেন। ৩৯ জনকে হত্যা করার সাথে যুক্ত থাকার কারনে সম্প্রতি আতীখ আহমেদ ওরফে ‘টিম্বার আতীখ’ কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মহীশুরের লস্কর মহল্লায় থাকা আতীখ আহমেদ প্রমান ছাড়া একাধিক হত্যালীলা ঘটানোর জন্য পরিচিত।
গত ১০ বছর ধরে পুলিশ তার পেছনে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। একাধিক হিন্দু নেতাদের হত্যার পিছনে এই আতীখ ছিল প্রধান পরিকল্পনাকারী। আতীখ মুসলিম যুবকের একটি দল গঠন করেছিল, যারা হিন্দু নেতাদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখত। তাদের একাটাই কাজ ছিল হিন্দু নেতাদের হত্যা করা এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা। তারা এমনভাবে হত্যার পরিকল্পনা করত যে খুব সামান্য বা কোন সূত্র ছাড়াই অপরাধ থেকে সহজে পালিয়ে যেতে পারত। এককথায় এটাই ছিল ঐ দলটির ইউএসপি। শশীকুমার, রমেশ ও রাজু দের মতো আনেক ডানপন্থী নেতাদের খুনে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়েছিল। অশোক পাই এবং গিরিধরের মতো মহীশুরের শীর্ষ হিন্দু নেতাদেরকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল আতীখ আহমেদ ও তার দল।