ভোট ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন নেতার বাড়ি, দলীয় কার্যালয়ে হানা দিয়েছে আয়কর দফতর। উদ্ধারও করা হয়েছে অনেক টাকা। কুমারস্বামী, চন্দ্রবাবু নাইডুর হেলিকপ্টারেও হয়েছিল আয়কর হানা। আর তারপর থেকেই বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করে আসছে, ইচ্ছে করেই বিজেপির নির্দেশে বিরোধীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা। এই ব্যাপারেই এ বার বিরোধীদের একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, দুর্নীতি করলে আয়কর বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতেও হানা দেবে।
মধ্যপ্রদেশের সিধিতে একটি নির্বাচনী সভা থেকে এ দিন মোদী বলেন, “আয়কর বিভাগের হানার পর কংগ্রেস নেতারা বলছেন, আমরা রাজনৈতিক নেতা। কেন আমাদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে আয়কর বিভাগ? দেশের আইন সবার জন্য এক। যদি মোদী কোনও দুর্নীতি করে, তাহলে মোদীর বাড়িতেও হানা দেবে আয়কর বিভাগ। আইন সবার জন্য সমান হবে।” বারাণসীতে নিজের মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দূরে এই নির্বাচনী সভায় মোদী বলেন, “তুঘলক রোড থেকে দুর্নীতির টাকা নামদারদের প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। দিল্লি থেকে ভোপাল পর্যন্ত, যেখানে যেখানে কংগ্রেস দুর্নীতি করছে, সেখানেই আপনাদের চৌকিদার দাঁড়িয়ে আছে। কাউকে ছাড়া হবে না।”
গত সপ্তাহে একটি ইন্টারভিউতেও এই আয়কর হানা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বলেছিলেন, কোনও রকমের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কিছু করা হচ্ছে না। যাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত, তাঁদের বাড়িতেই হানা দিচ্ছে আয়কর। এটা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নিজেদের কাজ। আয়কর দফতরের উপর কেউ প্রভাব দিচ্ছে না। সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবেই কাজ করছেন তাঁরা। এই ইন্টারভিউতে মোদী আরও বলেন, নির্দিষ্ট প্রমাণ দেখে তবেই হানা দিচ্ছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এই দুর্নীতির সঙ্গে যে সমাজের উঁচু তলার অনেক মানুষ যুক্ত, এমনটাই অভিযোগ করেছেন মোদী। তাঁর দাবি, কাউকে ছাড়া হবে না।
রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রত্যেকে এই আয়কর হানার জন্য দায়ী করেছে বিজেপিকে। বিরোধীদের অভিযোগ, ইচ্ছে করেই বিরোধীদের ভয় দেখাতে এই কাজ করছে বিজেপি। তারপরেই মাসখানেক আগে নির্বাচন কমিশনের তরফে আয়কর দফতরকে জানানো হয়েছিল, কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে যেন নিজেদের কাজ করে আয়কর দফতর। আয়কর দফতরের তরফেও জানানো হয়েছিল, তথ্যপ্রমাণ পেয়েই হানা দিচ্ছেন তাঁরা। তারপরেও বিরোধীদের অভিযোগ কমেনি। তাই এ বার মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদী।