পঞ্চায়েত ভোটে পশ্চিমবঙ্গে মানুষ খুনের রাজনীতি পুরো দেশজুড়ে চর্চার বিষয় হইয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। অবশ্য তাতে কোনো যায় আসে না নির্বাচন কমিশনের। প্রথম দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের ২ টি আসনে ভোট হয়েছে। দুটি আসনেই ছাপ্পা এবং তৃণমূল কংগ্রেস এর গুন্ডাগিরি মিডিয়া রিপোর্টে সামনে এসেছে। রাজ্যের মানুষ বার বার দাবি জানিয়েছিল যে ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। তা সত্ত্বেও  নির্বাচন কমিশন নিজেদের ইচ্ছামত বাছাই করা স্থানগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে TMC কে খুশি করার মতো কাজ করেছিল।

জানিয়ে দি, রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিযুক্ত করার বিরুদ্ধে রয়েছে। কারণ ছাপ্পা ও গুন্ডাগিরি করতে প্রধান বাধা কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃনমূল কংগ্রেস তথা TMC এর নেতা নেত্রীদের মুখে বার বার কেন্দ্রীয় বাহিনী বিরোধী কথা শোনা গেছে। গতকাল তৃনমূল কংগ্রেসের নেত্রী রত্না ঘোষ বলেছেন যে কেন্দ্রীয় বাহনীকে ঝাঁটাপেটা করতে হবে। মমতা ব্যানার্জীর পার্টি তৃনমূল কংগ্রেস এর নেতা নেত্রীদের ভাষায় এটা স্পষ্ট যে তারা রাজ্যের প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই না।

আর নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) এর সেই ইচ্ছাকে পূরণও করে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যাইহোক বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ভোট প্রদান হবে। সেখানেও নির্বাচন কমিশন মানুষের প্রাণ নিয়ে অবহেলা দেখিয়ে দিয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় ৮০% বুথে আধা সেনা নিযুক্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জ এই তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে বলে খবর।

সেখানে ৮০% বুথে আধা সেনা থাকবে এবং বাকি ২০% বুথে মানুষ সুরক্ষা পাবে না। বাকি ২০% বুথে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানো হবে বলে খবর। আর রাজ্যপুলিশ মমতা ব্যানার্জী এর তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির ইশারায় চলে এই অভিযোগ অনেকবার আনা হয়েছে। শিলিগুড়ি, কালিম্পং,জলপাইগুড়ি,উত্তর দিনাজপুরে যথাক্রমে ২৯,৯,৬১,৬৪ করে আধা সেনা কোম্পানি নিযুক্ত থাকবে।

এছাড়াও ৯ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী রাখা হবে যারা কুইক রেসপন্স টিম হিসেবে কাজ করবে। এই বাহনী অভিযোগ পেলেই ছুটবে। এর মাধ্যমে কড়া নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে মত নির্বাচন কমিশন এর। যদিও রাজ্যের মানুষের দাবি, ১০০%বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দিলে তৃনমূল কংগ্রেস(TMC) এর এই গুন্ডাবাহিনীকে আটকানো সম্ভব নয়। কারণ গুন্ডাবাহিনী ২ টো করে বোমা ফেলে দিয়ে ভোট না দেওয়ার হুমকি দিলে তখন কোনো সাধারণ মানুষ ভোট দিতে যাওয়ার সাহস পাবে না। এরপর কুইক রেস্পন্স টিম এসেও কোনো লাভ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.