বিরোধীরা তো তৃণমূলের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করেই। এবার দলীয় কর্মী অনৈতিক কাজ দেখে চুপ না থেকে প্রতিবাদ করে বসলো। আর সেই প্রতিবাদের মাশুলও দিতে হল তাঁকে। অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কর্মীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে শাবল দিয়ে কুপিয়ে হাত পা ভেঙে দিলো তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মাড়গ্রাম এলাকায়।
এই ঘটনার পরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বিরোধীরা অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করলে তৃণমূল যেমন দাওয়াই অথবা পাঁচন দেয়। এবার দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যেও সেই একই প্রথা চালু করেছে শাসক দল। এটা থেকে একটাই জিনিষ স্পষ্ট যে যেকোন মতেই তৃণমূলের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করা যাবেনা। প্রতিবাদ করলেই আপনার প্রাণও যেতে পারে।
ভোটের আগে এরকম এক পৈশাচিক কাণ্ড ভাবাচ্ছে জেলা তৃণমূলকে। একদিকে যেমন রোজই তৃণমূলের ঘর ভাঙছে বিজেপি। আরেকদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! দুটোতেই নাজেহাল শাসক শিবির। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, অনেকদিন ধরেই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তাপের পারদ চরেছিল। এবার তা প্রকাশ্যে এসেছে। এই কাণ্ডের পর গোটা এলাকা আতঙ্কিত। তাঁদের মতে, দলের কর্মীরা প্রতিবাদ করলে যদি এমন অবস্থা হয়। তাহলে আমরা তো কেউই না। আমাদের কি অবস্থা হতে পারে!