উনিশের লোকসভার আগে এই মুহূর্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘রামমন্দির’ বিতর্ক। এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলছে এই মামলা। দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটের আগে রামমন্দিরের মতো বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কোনও শুনানি হবে না। তারমধ্যেই এই বিষয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, ‘রামমন্দির কে না চায়?’
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদীকে প্রশ্ন করা হয়, এই মুহূর্তে দেশের মানুষের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রামমন্দির বিতর্ক। এই ব্যাপারে মোদী কী মনে করেন? রামমন্দির হওয়া উচিত, না উচিত নয়?
এই প্রশ্নের উত্তরে মোদী বলেন, “এই মুহূর্তে এই বিষয় সুপ্রিম কোর্টের অধীন। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে আমি এবং আমার দল সম্মান করে। দেশের সংবিধান সবথেকে উপরে। তাই সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের আগে কিছু বলা আমার উচিত নয়।” তাঁর ব্যক্তিগত মতের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মোদী বলেন, “রামমন্দির কে না চায়?” কিন্তু তারপরেও দেশের সংবিধান, দেশের শীর্ষ আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটিই তাঁরা মেনে নেবেন, এমনই মন্তব্য করেন মোদী।
রামমন্দির ছাড়াও মুসলিমদের সার্বিক উন্নয়নের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ২০১৩ সালের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। মোদী বলেন, “তখন আমি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন যে সাচার কমিটি গঠিত হয়, সেই কমিটি গুজরাতে গিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, সেখানে মুসলিমদের উন্নতির জন্য আমি কী করেছি? আমি উত্তরে বলেছিলাম, মুসলিমদের উন্নতির জন্য আমি কিছু করিনি।” তারপর একটু থেমে মোদী বলেন, “আমি এও বলি, হিন্দুদের জন্যও আমি কিছু করিনি। আমি কোনওদিন হিন্দু বা মুসলিমদের জন্য কিছু করবো না। কারণ আমার লক্ষ্য হলো ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ।’ কোনও ধর্ম দেখে আমি কাজ করি না। সার্বিক উন্নয়নই আমার লক্ষ্য।”
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে আরও বিপুল ব্যবধানে জয় পেতে চলেছে বিজেপি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, চোদ্দর লোকসভার আগে প্রচারের সময় যত মানুষের ঢল তিনি দেখেছেন, এ বার মানুষের সমর্থন আরও বেশ রয়েছে। তাই আগের বারের থেকেও বেশি আসন পাবে বিজেপি। মোদী আরও বলেন, দু’দফা থাকুন, কি দশ দফা, মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করাটাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। সেটাই তিনি করে যাবেন।