Bakranath Temple, Bakreshwar
Bakreshwar Temple is one of the famous and well-known temples in West Bengal. Here we can find a seat.It is one of the fifty-one backs. Bakreshwar is also known as Shaivatirtha.This temple is also known as Shakti Peeth or Sati Peeth. It is said that the Goddess Vru Madhya (the middle of the two fevers or the mind) fallen here. There are seven hot springs here. In the premises of the temple, there is a hot pool called Shwet Sarabar. If you want to go down there, you have to go through a cave and visit Bakranath Mahadev.
It is said about this Bakranath temple that in ancient times, as the Hiranyakashipu demon of Brahmanical origin was killed, that is why, in the sin of Brahmavadh, Lord Narasimhadeva felt great pain in nails. Then Mahamuni Ashtabakra voluntarily took this burning sensation in his head to relieve Narsinghdev. Seeing Ashtabakra in agony, Narsinghdev asked him to touch Bakranath Mahadev. After that, when Ashtabakra Muni touched Bakranath, the water of all the pilgrims came together in that cave and anointed Ashtabakra to relieve his pain.
Apart from Shwet Sarabar, the other seven hot springs are Agnikund, Brahmakund, Saubhagya Kund, Surya Kund, Jeevan Kund, Bhairab Kund and Kharkund. It is said that the water of these hot springs have the ability to heal.This has been located on the banks of the Papahara River in Bakreshwar, a small village near Dubrajpur in Birbhum district of West Bengal, the temple is 24 km from Suri and 240 km from Kolkata. Thousands of devotees and tourists flock to this Sati Peeth. Rekh- The temple of Goddess Mahishmardini is just at the direction south of the milky white grand Shiva temple of Bakreshwar, built in Deul style architecture. A ten-armed bronze idol of Durga is placed on the altar of the temple. According to popular belief, Sati’s body ‘mind’ is in a hole just below the bronze ten-armed idol. Every year on Shivaratri a large number of devotees and general tourists gather here. Lots of devotees of Shiva come to offer puja at this time and a huge fair is held over here on the occasion of this puja.
বক্রনাথমন্দির, বক্রেশ্বর
পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বিখ্যাত এবং আলোচিত মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম হল বক্রেশ্বরের বক্রনাথ মন্দির। এটি একটি পীঠস্থান। এটি একান্নটি পীঠের মধ্যে একটি। শৈবতীর্থ বলেও খ্যাতি আছে বক্রেশ্বরের। এই মন্দিরটি শক্তিপীঠ বা সতীপীঠ বলেও পরিচিত। কথিত আছে এখানে দেবীর ভ্রূ মধ্য( দুই ভ্রূর মধ্যস্থল বা মন) পড়েছিল। এখানে সাতটি উষ্ণ প্রস্রবণ আছে। দেবীর মন্দির প্রাঙ্গনে শ্বেত সরোবর নামক উষ্ণ কুণ্ড আছে। ওখানে নেমে চান করে একটি গহ্বরের মধ্যে নেমে বক্রনাথ মহাদেবকে দর্শন করতে হয়।
এই বক্রনাথ মন্দির সম্বন্ধে কথিত আছে যে পুরাকালে ব্রাহ্মণকুলোদ্ভূত হিরণ্যকশিপু দৈত্যকে বধ করায় ব্রহ্মবধজনিত পাপে ভগবান নৃসিংহদেবের নখে দারুণ জালা অনুভুত হয়। তারপর মহামুনি অষ্টাবক্র নৃসিংহদেবকে জ্বালামুক্ত করার জন্য স্বেচ্ছায় এই জ্বালা নিজের মাথায় ধারণ করেন। তীব্র জালায় অষ্টাবক্রকে নিদারুণ কষ্ট ভোগ করতে দেখে নৃসিংহদেব তাঁকে বক্রনাথ মহাদেবকে স্পর্শ করতে বলেন। এর পরে অষ্টাবক্র মুনি বক্রনাথকে স্পর্শ করলে ওই গুহার মধ্যে সব তীর্থের জল একত্রে এসে অষ্টাবক্রকে অভিষিক্ত করলে অষ্টাবক্র জ্বালামুক্ত হন।
এখানে শ্বেত সরোবর ছাড়া আর যে সাতটি উষ্ণ কুণ্ড আছে সেগুলো হল অগ্নিকুণ্ড, ব্রহ্মকুণ্ড, সৌভাগ্য কুণ্ড, সূর্য কুণ্ড, জীবন কুণ্ড, ভৈরব কুণ্ড ও খরকুণ্ড। কথিত আছে এই উষ্ণ কুণ্ডগুলির জলে নাকি আরোগ্য করার ক্ষমতা আছে।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভুম জেলার দুবরাজপুরের কাছে একটি ছোট্ট গ্রাম বক্রেশ্বরের পাপহরা নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দিরটির দূরত্ব সিউড়ি শহর থেকে ২৪ কিমি এবং কোলকাতা থেকে ২৪০ কিমি। এই সতীপীঠের টানেই এখানে ছুটে আসে হাজার হাজার ভক্ত পর্যটক। রেখ- দেউলরীতির স্থাপত্যশৈলীতে তৈরী বক্রেশ্বরের দুধ সাদা সুউচ্চ শিব মন্দিরের ঠিক দক্ষিণ দিকে দেবী মহিষমর্দিনী মন্দির। মন্দিরের বেদীতে অধিষ্ঠিত পিতলের তৈরী দশভুজা দুর্গার মুর্তি। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত পিতলের দশভুজা মুর্তির ঠিক নীচেই একটি গর্তের মধ্যে রয়েছে সতীর দেহাংশ ‘মন’। প্রতি বছর শিবরাত্রিতে এখানে প্রচুর ভক্ত এবং সাধারণ পর্যটকের সমাগম হয়। প্রচুর শিবের ভক্ত এই সময় পুজো দিতে আসেন এবং এই শিবপুজো উপলক্ষে এখানে বিরাট মেলা বসে।
This piece has been authored by Sajal Mondal and Mrighankhi Das, for a joint initiative by Baarta Today and the Indic Collective.