পাকিস্থানের সিন্ধ প্রান্তে রিনা ও রাবিনা নামের দুই হিন্দু বোনকে অপহরণ করেছিল ইসলামিক জিহাদিরা। রিনা ও রাবিনাকে জোরপূর্বক ২ জিহাদির সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে ২ দুই মুসলিম ব্যাক্তির সাথে রিনা ও রাবিনার বিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা আগে থেকেই ২ টো করে বাচ্চার বাবা। তা সত্ত্বেও পাকিস্থানের ইসলামিক জিহাদিরা জোর পূর্বক রিনা-রাবিনার ধর্ম পরিবর্তন করে তাদের বিয়ে ২ জন বিয়ে হওয়া মুসলিম ব্যাক্তির সাথে দিয়েছে। পাকিস্থানে হিন্দু মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে তাদের মুসলিমদের সাথে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রায় লক্ষ করা যায়।
হিন্দু মেয়েদের সাথে জিহাদিদের বিয়ে দেওয়ার পর, সেই মেয়েদের বাচ্চা তৈরির মেশিনের মতো ব্যাবহার করা হয়। হিন্দু মেয়ের থেকে হওয়া বাচ্চাদের আতঙ্কবাদী ক্যাম্পে পাঠিয়ে তাদের জঙ্গি তৈরি করে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করা হয়। যদিও পাকিস্থানে হিন্দু মেয়েদের উপর এমন অত্যাচারে নিয়ে বুদ্ধিজীবী, কোনো সংবাদ মাধ্যম, কোনো মহিলা সংগঠন, কোনো মানবাধিকার কমিশন আওয়াজ তুলে না। কাশ্মীরে জঙ্গি মরলেও যে মানবাধিকার কমিশন সক্রিয় হয়ে ওঠে, সেই মানবাধিকার কমিশন পাকিস্থানের হিন্দু দমন নিয়ে নিশ্চুপ।
রিনা ও রাবিনা এখনো ইসলামিক জিহাদিদের কব্জায় আছে। পাকিস্থানের সরকার ও পুলিশ শুধুমাত্র তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাটক করছে। অন্যদিকে রিনা রাবিনার মা মারা গেছে এবং দুই বোনের বাবার অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়েছে। রিনা-রাবিনার বাবা নিজের উপর পেট্রোল ঢেলে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, যদিও স্থানীয় বাকি হিন্দুরা উনাকে বাঁচিয়ে নেন।
পুলিশ এই ঘটনা নিয়ে কোনো তদন্ত করেনি শুধুমাত্র আশ্বাস দিয়েছে। অবশ্য পাকিস্থানের পুলিশ কিছু করার ক্ষমতাও রাখে না কারণ পাকিস্থানের পুলিশ থেকে সাধারণ লোকজন বেশিরভাগজন জিহাদি মানসিকতার। পাকিস্থানের সরকার মুখে শান্তির বাণী প্রচার করে যেভাবে পেছন থেকে জিহাদ(আতঙ্কবাদী হামলা) করে। সেই একইভাবে এখন অসহায় হিন্দুদের তদন্তের আশ্বাস দিয়ে জিহাদিদের সাথ দিচ্ছে।