গোয়েন্‌কার সঙ্গে আলোচনায় পন্থ, লখনউতেই থাকছেন ঋষভ, আইপিএল নিলামের আগে শামিকে নিতে কাড়াকাড়ি

শনিবার ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা জানিয়ে দিতে হবে দলগুলিকে। সে দিনই জানা যাবে, আগামী মাসে আইপিএলের ছোট নিলামে কারা নামবেন। তার আগে ঘর গোছানো শুরু করে দিয়েছে দলগুলি। নিলামের আগে কাকে ধরে রাখা হবে আর কাকে ছাড়া হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট শুরু হওয়ার আগের দিনই জানা গেল ঋষভ পন্থের আইপিএল ভবিষ্যৎ। তিনি লখনউতেই থাকছেন।

গত বার রেকর্ড ২৭ কোটি টাকায় পন্থকে কিনেছিল সঞ্জীব গোয়েন্‌কার লখনউ সুপার জায়ান্টস। তাঁকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। কিন্তু লখনউ প্লে-অফে উঠতে পারেনি। তার পরেও পন্থের উপর ভরসা হারাচ্ছে না দলের মালিক বাংলার শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েন‌্কা। পন্থকে রেখেই দল গোছাতে শুরু করেছে লখনউ।

সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন সঞ্জীব। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর সঙ্গে এক টেবিলে বসে রয়েছেন পন্থ। রয়েছেন লখনউয়ের প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার, বোলিং কোচ ভরত অরুণ ও নতুন গ্লোবাল ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট টম মুডি। সেখানে আরও কয়েক জন কর্তা রয়েছেন। ক্যাপশনে সঞ্জীব লেখেন, “আইপিএলে কাদের ধরে রাখা হবে সেই আলোচনা চলছে। মুডিকে পেয়ে আনন্দিত। ওঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। মরসুমের আগে আমাদের পরিকল্পনায় পন্থ, ল্যাঙ্গার ও অরুণকে পেয়েছি। খুব ভাল আলোচনা হয়েছে।” তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি।

গত বার নিলামে দল না পেলেও পরে মরসুম শুরু হওয়ার আগে শার্দূল ঠাকুরকে নিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। এ বারের নিলামের আগে তাঁকে কিনেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বইয়ের অধিনায়ক শার্দূল। তাঁর অভিজ্ঞতার জন্য তাঁকে নিয়েছে মুম্বই। আইপিএলে ১০৭ উইকেট নিয়েছেন শার্দূল। ওয়াংখেড়ের উইকেট খুব ভাল ভাবে চেনেন তিনি। সেই কারণে হয়তো তাঁকে কিনেছে তারা। পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্যাটার শারফেন রাদারফোর্ডকেও কিনেছে মুম্বই। গত মরসুমে গুজরাত টাইটান্সে ছিলেন তিনি। দুই ক্রিকেটারকেই টাকার বিনিময়ে কিনেছে মুম্বই। তার জন্য কোনও ক্রিকেটার তাদের ছাড়তে হয়নি।

ভারতীয় দলের দরজা প্রায় বন্ধ হয়ে গেলেও আইপিএলে এখনও মহম্মদ শামিকে নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে। গত নিলামে ১০ কোটি টাকায় তাঁকে কিনেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কিন্তু মাত্র সাতটি ম্যাচ তাঁকে খেলানো গিয়েছিল। ৬ উইকেট নিয়েছিলেন শামি। খারাপ বল করায় পরের দিকে আর সুযোগ পাননি তিনি। সেই শামিকে নিতে কাড়াকাড়ি পড়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের মধ্যে। ‘ক্রিকবাজ়’ এই খবর জানিয়েছে।

জানা গিয়েছে, দুই দলই হায়দরাবাদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। আগামী নিলামের আগে শামিকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে হায়দরাবাদের। ফলে যদি কোনও দল সরাসরি শামিকে কেনে, তা হলে তাঁদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যে দলই শামিকে কিনুক, তাদের বোলিং আক্রমণের নেতা হিসাবে খেলবেন বাংলার পেসার। কিন্তু তাতে একটা ঝুঁকিও রয়েছে। ২০২২ ও ২০২৩ সালের শামিকে কি পাওয়া যাবে? হায়দরাবাদের মতো পরে হাত কামড়াতে হবে না তো তাঁদের?

গত বার লখনউয়ের বোলিং তাদের ভুগিয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় পেসারেরা ভাল খেলতে পারেননি। সেই কারণে হয়তো লখনউ শামিকে নিতে চাইছে। রঞ্জিতে বাংলার হয়ে ফর্মে রয়েছেন শামি। সেই কারণেই তাঁকে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে সঞ্জীব গোয়েন্‌কার দল। অন্য দিকে দিল্লি এ বার মিচেল স্টার্ককে ছেড়ে দিতে পারে। সেই জায়গায় হয়তো শামির দিকে নজর দিয়েছে তারা। এই খবর থেকে পরিষ্কার, ভারতের জাতীয় দলের নির্বাচকদের মতো ভাবছে না আইপিএলে দলগুলি। তাই তো শামিকে নিতে কাড়াকাড়ি চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.