নিউ টাউনের ইকোপার্কে গুলি চালিয়ে এক ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনা ব্যবসায়িক বিবাদের জের বলে অনুমান করা হচ্ছে। গতকাল রাতে ইকোপার্কের রাম মন্দিরের কাছে নাসিরুদ্দিন খান নামে এক যুবককে খুন করা হয়। নাসিরুদ্দিন পোলের হাট থানার পদ্ম পুকুরের বাসিন্দা। বাইকে এসে ২ দুষ্কৃতী নাসিরুদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয়।
পুলিস সূত্রে খবর নাসিরউদ্দিনের ইটের ব্যবসা রয়েছে। কয়লার ব্যবসাও করে। দীর্ঘ দিন ধরেই তার ব্যবসায়িক পার্টনার পরাগের সঙ্গে লেনদেন নিয়ে বিবাদ চলছিল। প্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়ে একটা বিবাদ ছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান।
যে পরাগ ওরফে রফিকুল কাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তার দাবি, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। সাজানো হচ্ছে। অভিযোগ থাকলে জানতে পারবেন। আজ পুলিস পরাগকে গ্রেফতার করেছে। তাকে বারাসত কোর্টে তোলা হচ্ছে।
গতকালের ঘটনার পর নাসিরুদ্দিনের পরিবার বারবার পরাগের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছিল। কারণ গত ২ মাস ধরে ব্যবসার হিসেব নিয়ে পরাগের সঙ্গে নাসিরের ঝামেলা চলছিল। এনিয়ে একাধিকবার আলোচনায় বসা হয়েছে। ওই তথ্য পাওয়ার পরই পুলিস পরাগকে তলব করে। গতকাল রাতভর তাকে জেরা করা হয়। তার পরেই সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কারা গুলি চালিয়ে নাসিরকে খুন করল তাদের কোনও হদিস পুলিস করতে পারেনি। তাদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে। তবে পুলিস মনে করছে সুপারি কিলার ভাড়া করে সুপরিকল্পিতভাবে ওই খুন করা হয়েছে। খুনের তদন্তে নেমেছে বিধাননগর গোয়েন্দারা। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনও খতিয়ে দেখা হয়েছে। জানা যাচ্ছে পুলিস একটি ক্লু পেয়েছে।
নাসিরুদ্দিনের বাবা বলেন, ইটভাটার ব্যবসা রয়েছে ছেলের। সেই ব্যবসার পার্টনার রফিকুল ওরফে পরাগ। গত ২ বছর কোনও হিসেব হয়নি। শেষপর্যন্ত একটা হিসেব হয়েছে। সেখানে বিস্তর গরমিল। ও ম্যানেজারকে তাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য একজনকে আনা হয়েছে। এই ঘটনায় পরাগ সম্পূর্ণ দোষী বলে আমি মনে করি।