অন্তঃসত্ত্বার গর্ভে না কি সন্তানই নেই! শিশু চুরির অভিযোগে বারাসত হাসপাতালের বিরুদ্ধে

সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। প্রসবের জন্য অপারেশন থিয়েটারেও নিয়ে যাওয়া হয় অন্তঃসত্ত্বাকে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির সদস্যদের জানানো হয়, মহিলার গর্ভে কোনও সন্তান নেই। এটা ফলস প্রেগনেন্সি ছিল। অথচ আগের একাধিক আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে দেখা গিয়েছিল তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সন্তান চুরির অভিযোগে সরব হয়েছে পরিবার। যদিও এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছে।

অশ্বিনীপল্লির বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী পরিতোষ বালা অভিযোগ করেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে প্রসব বেদনা ওঠায় তাঁর মেয়ে রুথ মিত্রকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় রুথদেবীকে। কিছুক্ষণ পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার বি বক্সি পরিতোষবাবুকে অপারেশন থিয়েটারের ভিতরে ডেকে নিয়ে যান। জানান, তাঁর মেয়ের গর্ভে কোনও সন্তান নেই, এটা ছিল ফলস প্রেগন্যান্সি।

যদিও পরিবারের দাবি, এর আগে হাসপাতাল ও বাইরে থেকে করা সমস্ত ডাক্তারি পরীক্ষায় রুথদেবীর গর্ভে সন্তান আছে বলেই প্রমাণ মিলেছিল। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার আগে, বাইরের বেসরকারি প্যাথলজি সেন্টার থেকে করা আল্ট্রাসোনোগ্রাফির যে রিপোর্ট জমা নিয়েছিল ছুটির সময় সেগুলি রুথদেবীর পরিবারকে ফেরত দেয়নি বলেও অভিযোগ। সেই রিপোর্ট আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন পরিতোষবাবু। যদিও বারাসত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।

বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারকে সন্তান ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান রুথ মিত্রের স্বামী অভিষেক মিত্র। সেখানে কোনও বিচার না পেয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। এরপর তিনদিন কেটে গেলেও কোনও সুরাহা করেনি পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.