দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুই এক্সপ্রেসের চালক, সহকারী চালক এবং মালগাড়ির গার্ডকে নিয়ে কী বলছে রেল?

যে চারটি ট্রেনের ধাক্কায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে এই দুর্ঘটনা, সেই চারটি ট্রেনেরই চালক, গার্ড ও সহকারী চালকেরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। শনিবার রাতে এমনটাই জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৩টি ও ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চারটি কামরা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অভিঘাতে করমণ্ডলের চালক জে এন মোহান্তি ও সহকারী চালক এইচ বেহেরা জখম হন। তাঁদের কটকের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে রেল জানিয়েছে। বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালক সিআর রথ, সহ-চালক সুধীর কুমার অক্ষত রয়েছেন বলে খবর।আর মালগাড়ির চালক এবং গার্ডও সুস্থ আছেন। যশবন্তপুরের চালক সিআর রথ বলেন, ‘‘উল্টো দিক থেকে আসছিল করমণ্ডল। আমার ট্রেন পেরিয়ে যাওয়ার পরে শেষের চারটি কামরায় কী ভাবে কী হয়েছে, জানা নেই। আমি তো ইঞ্জিনে ছিলাম।’’ খড়্গপুর রেলেরসিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজেশ কুমার বলছেন, ‘‘কী ভাবে কী হয়েছে সেটা তদন্তে ধরা পড়বে। তবে আমাদের চালক ও গার্ডেরা সবাই প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।’’

ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছুঁই-ছুঁই। সেই সংখ্যা ৩০০ পেরিয়েও যেতে পারে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞেরা। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রেল সূত্রে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২৮৮। আহত ৮০০-র উপর। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এখনও ধ্বংসস্তূপ থেকে দেহাংশ ঝুলছে। ধ্বংসস্তূপের তলাতেও চাপা পড়ে থাকতে পারে অনেক দেহ। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। তবে সরকারি ভাবে রেল ‘উদ্ধারকাজ’ শেষ বলে ঘোষণা করেছে। শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে পরিষেবা স্বাভাবিক করার উদ্যোগ। তবে তা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.