বাংলাদেশের ব্যাটাররা ছক্কা মারতেই পারেন না। তাঁরা আনস্মার্ট, এমনটা বলছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। তাঁর মতে শাকিব আল হাসানদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছক্কা মারার চেষ্টা করাই উচিত নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরের শাকিবদের ‘বোকা’ বলতেও ছাড়লেন না সিডন্স।
বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ বলেন, “আমাদের দলে ছক্কা মারার মতো ব্যাটার নেই। বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে আমাদের। স্মার্ট হতে হবে। খুব বেশি বল আমরা হাওয়ায় খেলি। বলেছিলাম পিচে গিয়ে বুঝে খেলতে। দল শুরুটা ভাল করেছিল। কিন্তু এর পর সকলেই ক্রিজে গিয়ে মারতে চেষ্টা করল। পেসের কাছে নয়, স্পিনের বিরুদ্ধে হার মানলাম আমরা। একজন পেসার বেশ জোরে বল করছিল। বাকিদের বিরুদ্ধে ভাল খেলছিলাম আমরা। ভাল ক্রিকেটীয় শট খেলছিলাম। এর পরেই চালাতে গেলাম। ওই ভাবে খেলতে পারব না আমরা। এটা করা যাবে না।”
সিডনিতে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০৫ রান তুললেও বাংলাদেশ ১০১ রানে শেষ হয়ে যায়। সৌম্য সরকার (৬ বলে ১৫ রান) দুটো ছক্কা মেরে আশা জাগিয়েছিলেন বাংলাদেশ সমর্থকদের। কিন্তু এর পরেই তিনি আউট হয়ে যান। লিটন দাসের করা ৩১ বলে ৩৪ রানই বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে রিলি রুসো (৫৬ বলে ১০৯ রান) এবং কুইন্টন ডি’কক (৩৮ বলে ৬৩ রান) যে পিচে রান করে গেলেন, সেই পিচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খেলতেই পারলেন না।
পরের ম্যাচে কী ভাবে খেলতে চান সে বিষয়েও বলেন সিডন্স। তিনি বলেন, “রুসো, কুইন্টন যে ভাবে খেলেছে, তার থেকে আমাদের খেলার ধরন আলাদা হতে হবে। ছক্কা মেরে আমরা খুব বেশি ম্যাচ জিততে পারব না। সেটা আমাদের খেলার ধরন নয়। রুসো বিনা পরিশ্রমে মাঠের বাইরে বল পাঠাচ্ছিল। আমরা পারি না ও ভাবে ছক্কা মারতে। রুসোর ভুল শটেও ছক্কা হয়।”
বাংলাদেশ দল যে পিচে অনুশীলন করেছে তার থেকে বিশ্বকাপের পিচ অনেক আলাদা বলেও জানিয়েছেন সিডন্স। তিনি বলেন, “আমরা যে ভাবে অনুশীলন করেছি, তার থেকে ম্যাচটা অনেক আলাদা। হোবার্টের পিচ আমাদের ব্যাটারদের জন্য খুবই গতিময় ছিল। এখানে সেটা নয়। সেই কারণে আমাদের ব্যাটাররা তাড়াহুড়ো করে ফেলছিল শট মারার সময়। আমরা খারাপ ব্যাট করেছি। গতির সঙ্গে সেটার কোনও সম্পর্ক নেই।”