ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আরও একটি এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের, এই নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা হল ৪৯ টি।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আরও একটি এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। পূর্ব মেদিনীপুরের মরিসদাহতে গত মার্চ মাসের একটি খুনের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হল। এই নিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় ৪৯ টি মামলা হল।

ডিসেম্বরের ৯ তারিখে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে আরও দুটি মামলা রুজু করে সিবিআই। রায়নাতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। বারাসতে খুনের চেষ্টার ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করতে চলেছে সিবিআই।

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত চলছে পুরোদমে। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলায় জেলায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি ধড়পাকড়ও চলছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু করে সিবিআই। মুর্শিদাবাদের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় এই মামলা রুজু করা হয়। সেই কান্দির উগ্র ভাটপাড়া গ্রামে ‘স্পট ভিজিট’-এ এলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার বিশেষ প্রতিনিধি দল।

গত ৯ মে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার অনন্তপুর গ্রামে কয়েক জন দুষ্কৃতীর হাতে ধর্ষিত হয় কান্দি থানার উগ্র ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এক নাবালিকা। এমনই অভিযোগ ওঠে। এক বান্ধবীর সঙ্গে ওই নাবালিকা যখন সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল, তখন কয়েক জন যুবক তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই নাবালিকার বান্ধবী কোনও ক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। জানা গিয়েছে ওই নাবালিকা স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষণের অভিযোগে তিন অভিযুক্তকে পূর্বেই গ্রেফতার করেছিল জেলা পুলিশ। কিন্তু তারপরে পুলিশ আর কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকী,ওই তিন দুষ্কৃতী জামিনও পেয়ে যায়।

ওই নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের দাবি,  বারবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। পরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা রুজু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, যে সব মামলার তদন্ত রাজ্য পুলিশ করেনি, সেই ক্ষেত্রেও তদন্ত করতে হবে সিবিআই-কে।

ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হওয়া অভিজিৎ সরকারের মামলার মূল সাক্ষী তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের নিরাপত্তায় জোর দিল কলকাতা পুলিশ। নারকেলডাঙ্গা থানার তরফে বিশ্বজিতের বাড়ির চারপাশে পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। সম্প্রতি বিশ্বজিৎকে তাঁর বাড়ির সামনে এসে দুষ্কৃতীরা প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই হুমকির বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন বিশ্বজিৎ। সিবিআই-এর কাছেও গোটা বিষয়টি জানান। তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয় সিবিআই। তারপরেই পুলিশি তৎপরতা। এর আগে এই মামলার তদন্তে তত্পর হয়ে উঠেছিল সিবিআই। যেহেতু মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে, তাই এবার সাক্ষীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার তদন্তে এগোতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.