প্রায় ২০ কোটি টাকা জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে। জিএসটি আধিকারিকরা তাঁদের বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেন। কসবা থানায় রাখা হয়েছে তাঁদের। আজ, শুক্রবার আদালতে পেশ করা হবে।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, ভুয়ো জিএসটি ইনভয়েস তৈরি করে কর ফাঁকি দিতেন তাঁরা। কমিশনের ভিত্তিতে অনান্য সংস্থাগুলিকে ভুয়ো ইনভয়েস তৈরি করে দিতেন।
এর আগে জিএসটির ক্ষেত্রে ভুরি ভুরি অভিযোগ দেখা যায়। এর আগে ১৬০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার জিএসটির পূর্বাঞ্চল শাখার তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, গত বছর কেন্দ্রীয় সরকারের ৪০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। কর ফাঁকি দেওয়ার মূল চক্রী পঙ্কজ বাগলার বাড়ি বাঙুরে। তাঁর সল্টলেকে অফিস রয়েছে। সেখানে প্রায় ১৫ জন কর্মী ছিলেন। দ্বিতীয় জন এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। উত্তর কলকাতার বাসিন্দা সেই বিষ্ণু সিঙ্ঘানিয়ার কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নগদও উদ্ধার হয়।
এ ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজীব ও সন্দীপ কয়াল নামে দুই ভাই। কাঁচা মাল কেনার সময়ে সরকারকে যে কর দিতে হয়, তৈরি মাল বিক্রির সময়ে সেই করে ছাড় পাওয়া যায়। অভিযোগ, অনেক ব্যবসায়ীই বাজার থেকে নগদ টাকা দিয়ে কাঁচা মাল কিনছেন এবং সেখানে কোনও বিল হচ্ছে না। ওই ভাবে কর ফাঁকি দিচ্ছেন তাঁরা।
তবে এক্ষেত্রে কর ফাঁকি দেওয়ার ধরনটা আলাদা। ভুয়ো জিএসটি ইনভয়েস তৈরি করতেন ধৃতরা। বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়ে তাদের ভুয়ো ইনভয়েস তৈরি করে দেওয়াই ছিল কাজ।
তবে এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের জেরা করে সেই নাম জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে, ১৭৩.৫০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে ইডি-র হাতে পাকড়াও ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারির পর বাজেয়াপ্ত ৪.৬৩ কোটি টাকা, ২টি গাড়ি। রাজ্যের ৬ জায়গায় তল্লাশির পরে পাকড়াও জালিয়াত। ব্যাঙ্কের জাল নথি দেখিয়েই বিপুল পরিমাণ টাকার জালিয়াতি। খবর ইডি সূত্রে। প্রাথমিক ভাবে এই মামলায় তদন্ত শুরু করে সিআইডি। পরে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ সামনে আসায় মামলা রুজু করে ইডি। প্রতারণার জাল আরও বিস্তৃত। দাবি ইডি-র। দেবব্রত হালদার নামে এই ব্যবসায়ীর খোঁজে দীর্ঘদিন ধরেই তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, জাতীয় ক্ষুদ্র শিল্প নিগমের থেকে এত মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সেখানে জাল নথি জমা দেন। পরে সেই টাকা আর শোধ করেননি তিনি। সেই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়।