জামিন পাননি আরিয়ান খান। আপাতত জেলের রুদ্ধদ্বার কক্ষেই দিন কাটবে তাঁর। বর্তমানে আর্থার রোড জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। করোনা নিয়মবিধি মেনে সেখানে তিন থেকে পাঁচ দিন নিভৃতবাসে কাটাবেন আরিয়ান। কিন্তু তারকা-সন্তান বলে কোনও রকম ‘বিশেষ আয়োজন’ করা হবে না তাঁর জন্য। আর পাঁচ জন হাজতবাসীর মতোই থাকবেন ‘কিং খান’-এর পুত্র। কোন রুটিন মেনে আগামী কয়েক দিন চলবেন বাদশা-পুত্র?
প্রতিদিন ঘড়ি ধরে ঠিক ৬টায় ঘুম থেকে উঠিয়ে দেওয়া হবে প্রত্যেক অভিযুক্তকে।
প্রাতঃরাশ দেওয়া হবে সকাল ৭টার সময়।
জেলে যা রান্না হয়, অভিযুক্তরা যা খান তা-ই খাবেন। বাইরের খাবার সেখানে নিষিদ্ধ।
বেলা ১১টার মধ্যে অভিযুক্তদের দুপুরের খাবার দিয়ে দেওয়া হবে।
দুপুর এবং রাতের খাবারের তালিকায় থাকবে রুটি, তরকারি, ডাল এবং ভাত। এর বাইরে আর কিছুই দেওয়া হবে না হাজতবাসীদের।
খাওয়াদাওয়ার পর জেলের ভিতরেই হাজতবাসীদের হাঁটাচলা করতে দেওয়া হয়। কিন্তু আরিয়ান এবং তাঁর সঙ্গীদের ক্ষেত্রে এখনও সেই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত নিভৃতবাসে থাকার পর জেলের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঘোরাফেরা করতে পারবেন তাঁরা।
সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আবার রাতের খাবার দিয়ে দেওয়া হবে।
বরাদ্দ খাবারের বাইরে ক্যান্টিন থেকে আরও খাবার চাইলে আরিয়ান এবং তাঁর সঙ্গীদের টাকা দিতে হবে। মানি অর্ডারের মাধ্যমে সেই টাকা আনানো যেতে পারে।
প্রাসাদোপম ‘মন্নত’ ছেড়ে আপাতত হাজতে এ ভাবেই সাদামাটা দিন কাটাবেন আরিয়ান। প্রমোদতরীর সেই পার্টিতে থাকাই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল শাহরুখ-পুত্রের।