কুলটিতে উদ্ধার অস্ত্র, কারবারের জাল বিস্তৃত ভিনরাজ্যেও!

মাটির নীচে চোরা কুঠুরি বানিয়ে সেখানেই চলত সারি সারি অস্ত্র মজুতের (Arms Smuggling) কারবার। আচমকা অভিযান চালিয়ে গোটা একটা কারখানার হদিশ পেল পুলিশ। সাধারণ দেখতে একটা পরিত্যক্ত ঘরে যে এত বড় একটা চক্র লুকিয়ে থাকতে পারে তা ভাবতেই পারছেন না পুলিশ কর্তারা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি শিল্পনগরী কুলটির (Kulti) দিশেরগড়ে। দামোদর নদ-সংলগ্ন এই গোপন অস্ত্র কারখানার তিন চক্রীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের কমিশনারেট (ডিসি ওয়েস্ট) অভিষেক মোদী জানান, অভিযান চালিয়ে ওই গোপন কারখানা থেকে সাতটি তৈরি ৭.৬২ পিস্তল, ২০টি অসম্পূর্ণ পিস্তল, ১৪টি তৈরি ম্যাগাজিন আর পাঁচটি অসম্পূর্ণ ম্যাগাজিন, ১৩ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে এই কারখানায় অস্ত্র পাচারের কারবার ছড়িয়ে ভিনরাজ্যেও বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দা কর্তারা।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৩ সেপ্টেম্বর নাকা চেকিংয়ের সময়ে বরাকর চেকপোস্টে বিপুল অস্ত্র-সহ ধরা পড়েছিলেন আশ মহম্মদ নামে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে জেরা করে উঠে আসেএকের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে এই অস্ত্র কারবারের জাল।

নাকা চেকিংয়ে ধৃত আশ মহম্মদের থেকে প্রথমে উদ্ধার হয়েছিল মোট ২৬টি পিস্তল আর ৪৬টি ম্যাগাজিন। তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদের দুই ব্যক্তির সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। আনওয়ার খান রশিদ ও আফতাব খান নামে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়।

তিনজনকে জেরা করার পর কুলটির পুলিশ ঝাড়খণ্ডে একটি অভিযান চালায় স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে। সেখান থেকেও উদ্ধার হয় আরও অস্ত্র। অবশেষে কুলটিতেও আরও একটি অস্ত্র কারবারির ডেরার হদিশ পান গোয়েন্দারা। তবে এর পেছনে আর কারা যুক্ত, কীভাবে পাচার হত সেইসব অস্ত্র, তা খতিয়ে তদন্ত করে দেখছেন  গোয়েন্দারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.