মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় নাগাড়ে বৃষ্টি। সারারাত তা চলে বুধবারও অব্যাহত রয়েছে। আর তার জেরে কলকাতায় আবারও ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ি। ১০ নম্বর আহিরীটোলা স্ট্রিটে একটি পুরনো বাড়ির সাতসকালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলে দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বাহিনী পৌঁছায়। আহিরীটোলায় বাড়ি ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। মৃতদের মধ্যে একজন এক বছরের শিশু রয়েছে। বাড়ির একটা বড় অংশ এভাবে ভেঙে পড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসাবশেষে আটকে পড়া শিশু এবং তার দিদাকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এমারজেন্সি বিভাগে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই দোতলা বাড়িটি বেশ পুরনো। দীর্ঘদিন কোনও সংস্কারও হয়নি। এই বাড়িতে বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করে। আজ ভোরে বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তখন বাড়ির ভিতর থেকে আর্তনাদ শুনতে পান তাঁরা। তখন প্রথমে নিজেরাই হাত লাগান। পরে খবর দেওয়া হয় দমকল এবং পুলিশে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আটকে পড়া বাড়ির লোকজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। খবর পেয়ে আসেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যরা। তাঁরা উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়ে বাকিদের বের করে নিয়ে আসেন। তবে ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি সরানো সম্ভব হয়নি। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। টানা বৃষ্টিতেই বাড়িটি ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান তাঁদের।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখও বড়বাজারের এক নম্বর বাবুলাল লেনের একটি পুরনো বাড়ি ভেঙে পড়ে। বাড়িটি চারতলা। অথচ দীর্ঘদিন তাতে সংস্কার হয় না। বাড়িটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিল। টানা বৃষ্টিতে সেটি ভেঙে পড়ে। জুন মাসে ভেঙে পড়ে শিয়ালদহের একটি পুরনো বাড়ি।