বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে কোভ্যাক্সিনের আকাল চলছে। টিকা নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির মুখে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যের টিকা-সঙ্কট মেটাতে সোমবার দেড় লক্ষ কোভ্যাক্সিন হাতে পেল স্বাস্থ্য দফতর। হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। অন্যান্য বার বিমানে কলকাতা এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছয় টিকা। সেখান থেকে গাড়ি করে আসে রাজ্য সরকারের বাগবাজারের স্টোরে। তবে এ বার মাত্র ১০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রাজ্যের ভাঁড়ারে এসে পৌঁছল করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন।
গত সপ্তাহে রাজ্যে প্রায় দেড় লক্ষ কোভ্যাক্সিনের প্রয়োজন ছিল। শুধু কলকাতার জন্য ৭৫ হাজার কোভ্যাক্সিন প্রয়োজন বলে জানান কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। চলতি মাসে দু’দফায় প্রায় আড়াই লক্ষ কোভ্যাক্সিন আসার কথা থাকলেও শেষ মুহুর্তে তা বাতিল হয়ে যায় বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। তাতেই রাজ্যের টিকা-সঙ্কট চরমে ওঠে। রাজ্যে কোভ্যাক্সিনের অভাব মেটাতে কেন্দ্র সরকার সোমবার টিকা পাঠাল কলকাতার হেস্টিংস এলাকায় কেন্দ্র সরকারের মেডিক্যাল স্টোর থেকে। ৯, ক্লাইভ রো-এর ওই ঠিকানা থেকে সোমবার দুপুরে টিকা এসে পৌঁছয় ৫৪১বি রবীন্দ্র সরণিতে অবস্থিত রাজ্য সরকারের বাগবাজারের ভ্যাকসিন স্টোরে। হেস্টিংসের কেন্দ্রীয় সরকারের এই মেডিক্যাল স্টোরে মূলত উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির জন্য টিকা মজুত রাখা হয়।
২০ জুলাই রাজ্যে শেষ কোভ্যাক্সিন এসেছিল। ওই সময় ৪০ হাজার ডোজ এসেছিল। ওই সপ্তাহেই আরও এক লক্ষের উপর কোভ্যাক্সিন আসার কথা থাকলেও তা আসেনি। কোভ্যাক্সিনের অভাব থাকায় রাজ্যের বহু কেন্দ্রে টিকা দেওয়া বন্ধ করা হয়। এই অবস্থায় সোমবার যে পরিমাণ টিকা আসছে তাতে সাময়িক টিকা সঙ্কট মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় কোভ্যাক্সিনের অভাব মেটাতে সোমবারই জেলায় জেলায় টিকা বিতরণ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের।