বিজয় মিছিল নিয়ে এফআইআর কমিশনের, বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উচ্ছাস তৃণমূলের

নির্বাচনীবিধি ভঙ্গে আভিযোগ দায়ের করেছে কমিশন। বিজয় মিছিল নিয়ে এফআইআর রুজু করেছে নির্বাচন কমিশন কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হচ্ছে না। সারা রাজ্যে চলছে করোনা বিধি ভঙ্গ করে তৃণমূলের জয়োল্লাস।

এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা সাবধানী বার্তা দিয়েছেন। তারা বলছেন এমন যারা করছেন তাদের স্থান যে কোনও মুহূর্তে হতে পারে আইসিইউতে। তাদের বার্তা, এখনই না হলে রাজ্যের সমস্যা এখনও বাড়বে। তারা এও বলছেন যে, যে দলই জিতুক তাদের নেতাদের নিজেদের সামনের এসে বিষয়টিকে সামাল দেওয়া উচিৎ। না হলে রাজ্যের বিপদ বাড়বে বই কমবে না।

প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। শুরু হয়েছে উচ্ছাসও। তৃতীয়বার জয়ের দিকে তাঁরা এগিয়ে গিয়েছেন, এই ধরে নিয়েই আনন্দে গা ভাসিয়েছে তৃণমূল দলের সমর্থকরা। কিন্তু এই বাঁধ ভাঙা উচ্ছাসের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে করোনা বিধি। মাস্ক নেই, দূরত্ব বিধি তো নেই। চলছে আবির খেলা, খেলা হবে গান চালিয়ে নাচ, রসগোল্লা খাওয়ানো চলছে। কিন্তু নেই সেই করোনা বিধি।

ইলেকশন কমিশন বলেছিল যে বিজয় মিছিল যেন না করা হয়। ভাঙল সেই বিধি। এই প্রসঙ্গে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমরা সবাইকে বলব দ্রুত যেন বাড়ি চলে যাওয়া হয়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে মানুষের আবেগকে আটকে রাখা শক্ত। আমরা সেটা চেষ্টা করছি। এই উচ্ছাস বাইরে থেকে নেতাদের নিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসার উচ্ছাস’। যদিও ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেছিলেন, ‘জিতলেও এই জয় আবেগের হবে না। এই জয় হবে দায়িত্বের’। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই চিত্র দেখা যাচ্ছে না।

২ মে রাজ্যের ২৯৪ আসনের মধ্যে ২৯২টি আসনের ভোট গণনা হচ্ছে। দুই কেন্দ্রের প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাই ওই দুই কেন্দ্রের ভোট গণনা হচ্ছে না। এই করোনার জন্য এবার প্রচুর বিধি নিষেধ রয়েছে। আগে ইভিএম স্যানিটাইজ করা হয়। নেওয়া হয় প্রার্থী ও যারা ভোট গণনা করছেন তাদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। তারপর তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়। ২৩টি জেলায় তৈরি করা হয়েছে ১০৮টি ভোট গণনা কেন্দ্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.