রাজ্যে এই প্রথম ১ দিনে শতাধিক মৃত্যু, নতুন সংক্রমণে কলকাতাকে ছাড়াল উত্তর ২৪ পরগনা

রাজ্যে কোভিড রোগীর দৈনিক মৃ্ত্যুর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ১০০-র গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। শনিবার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে সবচেয়ে বেশি। সেই সঙ্গে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি। এই নিয়ে টানা ৪ দিন ধরে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার বা তার বেশি হল। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার। সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় এর মোট হার দাঁড়িয়েছে ৮.০৬ শতাংশে। যা এই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

শনিবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৩ জন মৃতের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা ২৬ জন। ওই সময়ের মধ্যে কলকাতায় ১৯ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, পূর্ব মেদিনীপুরে ৮, উত্তর দিনাজপুরে ৬, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫ জন করে রোগীর মারা গিয়েছেন। অন্য দিকে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং মালদহে ৪ জন করে সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং হুগলি জেলায় ৩ জন করে রোগী মারা গিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে ২ জন করে রোগীর মৃ্ত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, কালিম্পং, পুরুলিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানে ১ জন করে কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১১ হাজার ৪৪৭ জন সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট ৫৬ হাজার ২৯৭টি কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১৭ হাজার ৫১২টি। এর জেরে দৈনিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৩১.১১ শতাংশে। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট ৮ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৭৮ জন কোভিডে আক্রান্ত হলেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৩৪২ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।


স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা উত্তর ২৪ পরগনায় বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৯৩৪। অন্য দিকে, কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৫ জন। এ ছাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৯৯২), হাওড়া (৯৬৪), পশ্চিম বর্ধমান (৮৭৪), নদিয়া (৮৪৮), হুগলি (৮৬০), পূর্ব বর্ধমান (৬৪৫), পূর্ব মেদিনীপুর (৬৪৫) এবং বীরভূম (৬৩৭) জেলার দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.