বৃক্ষের সমাদর করে প্রাচীন ভারতের শাস্ত্রকারেরা বলছেন, ‘একো বৃক্ষো দশঃ পুত্র সমাচরেৎ’। অর্থাৎ এক বৃক্ষ দশ পুত্রের সমতুল্য। বলেছেন, যে ব্যক্তি পথের ধারে, জলাশয়ের ধারে গাছ লাগাবে তার স্বর্গবাস নিশ্চিত, যতদিন সেই রোপিত বৃক্ষ ফল ও ছায়া দান করবে (পদ্মপুরাণ)। অগ্নিপুরাণে (২০৩/১৬) বলা হয়েছে বৃক্ষচ্ছেদন করলে বজ্রশস্ত্রে পড়তে হয় — “দ্রুমচ্ছিদ্ বজ্রেশস্ত্রকে”।

বৃক্ষচ্ছেদনে পাপের কথা রয়েছে মহাভারতেও — “বনসম্পতিঞ্চে যোহন্যাদমাবস্যাম বুদ্ধিমান্। অপি হ্যেকেন পত্রেণ লিপ্যতে ব্রহ্মহত্যয়া।” যে নির্বোধ অমাবস্যায় কোনও মহাবৃক্ষ বিনষ্ট করে অথবা তার একটি পাতাও ছেঁড়ে তাকে ব্রহ্মহত্যার পাপ গ্রাস করে। ঋগ্বেদের অরণ্যাণী সূক্তে বলা হয়েছে, অরণ্যের সুস্বাদু ফল আহার করে সুখে অতিবাহিত করা যায়। যথেষ্ট আহার লভ্য এই অরণ্যে। কৃষিকাজ না হলেও সকলের আশ্রয়স্থল এই অরণ্য, তাই অরণ্য মাতৃস্বরূপা (১০.১৪৬.৫-৬)। মনুসংহিতাতে অপরিণত বৃক্ষচ্ছেদনে নিষেধাজ্ঞা দেখতে পাওয়া যায়। মনু স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে, সুখদুঃখ আছে, তাই অযথা উদ্ভিদ বিনাশ অনুচিত (মনুসংহিতা ১/৪৯)। মহাভারতের শান্তিপর্বে উদ্ভিদের চৈতন্য সম্পর্কে ঘোষণা শুনতে পাই (১৭৮/১৭)। এই চৈতন্য-ধারণাকেই হাতে-কলমে প্রমাণ করেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর আবিষ্কৃত স্ফিগমোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে।

বৃক্ষের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই মানুষ প্রাচীনকাল থেকে বৃক্ষ পূজা করে এসেছে। আর সকল সভ্যতাতেই উদ্ভিদ পেয়েছে পূত-পবিত্র স্বীকৃতি। উদ্ভিদ-টোটেম বা বৃক্ষ-কূলকেতু, উদ্ভিদ-বিবাহে রয়েছে উদ্ভিদের মধ্যে মানুষের আশ্রয় লাভের লোকায়ত চেতনা।
বরাহমিহির রচিত ‘বৃহৎ সংহিতা’-য় ‘বৃক্ষায়ুর্বেদ’ অধ্যায়ে ১৩৬ টি উপকারী বৃক্ষের নাম পাওয়া যায়। বাস্তুশাস্ত্র মতে আম, জাম, সুপারি, কলা, কাঁঠাল, নারকেল ইত্যাদি যে বাড়িতে থাকে সেখানে লক্ষ্মীর অধিষ্ঠান পাকা হয়। আম গাছ রোপণে পিতৃপুরুষ প্রসন্ন হন বলে লোকবিশ্বাস। বেল, ডালিম ইত্যাদি গাছ বাড়িতে লাগানো মঙ্গলজনক, কিন্তু খেজুর, তেঁতুল, হরীতকী ইত্যাদি গাছ অমঙ্গলের সূচনা করে বলে বিশ্বাস। সাধারণভাবে বলতে হয় বৃহৎ বৃক্ষ লাগাতে হবে বীথিকায়, আবাস সন্নিহিত স্থানে নয়; তার কারণ হচ্ছে বৃহৎ বৃক্ষের শেকড়তন্ত্রের বিস্তৃতি যা গৃহের ভিত আলগা করে দিতে সক্ষম।

জ্যোতিষশাস্ত্রে বিবিধ গ্রহ-নক্ষত্র রাশির সঙ্গে বিভিন্ন বৃক্ষের সম্পর্ক আছে, তারমধ্যে ফলের গাছগুলি এইরকম — ভরণী নক্ষত্র আমলকী, কৃত্তিকা – ডুমুর, রোহিণী – জাম, আর্দ্রা – বহেড়া, চিত্রা – বেল, উত্তরষাঢ়া – কাঁঠাল, উত্তরভাদ্রপদ – আম, রেবতী – মহুয়া গাছের প্রতীক।

সাংসারিক সুখ শান্তিতে ফল গাছের অবদানের নিদান দিয়েছিলেন বাস্তবিদেরা। সুমিষ্ট ফলের গাছ যেমন আম, জাম, জামরুল, গোলাপজাম, লিচু, ফলসা, আঁশফল, নারকেল সুখ-সমৃদ্ধির কারণ বলে বিশ্বাস করা হয়। বাড়িতে নারকেল, বেল, সুপারি গাছ থাকা অত্যন্ত মঙ্গলজনক। বেল গাছের উপস্থিতি বংশানুক্রমে মা লক্ষ্মীর বসতি নির্দেশ করে, কিন্তু তা কেটে ফেললে সাংসারিক ক্রমাবনতি হয়। যে কোনও ফলবতী গাছ পূর্বদিকে লাগানো শুভ। অন্যান্য গাছের মধ্যে লতানে লাউ, কুমড়ো, কাঁকরোল গৃহে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। তুলসীগাছ লাগাতে হয় বাড়ির উত্তর-পূর্বে, তুলসী চারা রোপণ এবং লালন-পালন করলে কন্যাদানের পুণ্য লাভ হয় বলে মানুষের বিশ্বাস। ‘বিশ্বকর্মা প্রকাশ’ শাস্ত্রে বলা হয়েছে বাড়ি তৈরির পূর্বেই জমিতে বাগান করার কথা। ‘অগ্নিপুরাণ’-এ বাসগৃহের কাছে উত্তর-পশ্চিম বা উত্তর-পূর্বে বাগান করতে বলা হয়েছে।

বাংলার ভিটেমাটিতে বৃক্ষরোপণ বিশেষত ফল গাছ লাগানো একটি প্রাচীন প্রথা। এই গাছপালার জন্যই বাংলার গ্রামগুলির এমন শ্যামলশোভা। অনেকগাছ লাগানো হলেও ডুমুর, বেত, বেল, তেঁতুল, কালোজাম, গাব, খেজুর, তাল, কুলের মত ফলগাছগুলি আপনা থেকেই জন্মায়। নারকেল, সুপারি, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু ইত্যাদি ফলের গাছ পরিকল্পনা করে লাগিয়ে থাকেন গ্রামবাংলার মানুষ।

ফল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং ভেষজ পদার্থ পাওয়া ছাড়াও এইসকল আবাস-সন্নিহিত ফলের গাছ গৃহ-পরিবেশের সৌন্দর্যবৃদ্ধি করে, তাদের নয়নাভিরাম ফুল ও তার সুগন্ধ আমাদের মন ভরিয়ে দেয়। এ ছাড়াও এই গাছপালা বৃষ্টির ক্ষয় থেকে মাটিকে রক্ষা করে, জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, মাটি সম্বৎসর আর্দ্র থাকে। সুতরাং এই সমস্ত উদ্ভিদ ভূমিক্ষয় রোধেরও অন্যতম সহায়ক। এই গাছপালা পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ করে, পরিবেশের তাপমাত্রা কমায়, অক্সিজেন সরবরাহ করে।

সমাজভিত্তিক বনসৃজনে একটা সুদীর্ঘ সময় যে সমস্ত গাছ লাগানো হয়েছে তারমধ্যে ইউক্যালিপটাস, আকাশমণি, লম্বু, জিয়াপুত, গামার, শিরীষ, রাবার, ক্যাসুরিনা, গুলমোহর, রাধাচূড়া বা বাসন্তী প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য। এর ফল খাদ্য হিসাবে ব্যবহারে সক্ষম নয় নানান পাখি, কাঠবিড়ালি ও অন্যান্য প্রাণি। এই গাছগুলিকে মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তায় ব্যবহার করা আগামী দিনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। স্বসহায়ক গ্রুপের সদস্যরা গাছগুলিকে যত্নআত্তি করে স্বনির্ভর হতে পারবেন। এই সমস্ত গাছের ফল থেকেই প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে গ্রামীণ কৃষি-ভিত্তিক কুটিরশিল্প।

সামাজিক বনসৃজনে ফল গাছঃ

সোশ্যাল ফরেস্ট্রি বা সমাজভিত্তিক বনসৃজন এবং আর্বান এণ্ড রুরাল রিক্রিয়েশনাল ফরেস্ট্রি বা নগর এবং গ্রামীণ এলাকার বিনোদনমূলক বনায়ন তৈরির অপরিহার্য অঙ্গ হিসাবে ফলের গাছ রোপণ করা দরকার। তাতে নানান পাখি ও পশুর নান্দনিক উপস্থিতি চোখে পড়ে, স্থানীয় গরীব মানুষও তার ফল গ্রহণ করে খানিক পুষ্টিলাভ করতে পারে।
পাহাড়ি এলাকায় সামাজিক বন সৃজণের জন্য ১০০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় সুপারি, আম, কাঁঠাল, লেবু, সজনে, পেয়ারা, জলপাই; ১০০০-২০০০ মিটার উচ্চতায় কমলালেবু, নাসপাতি, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, অ্যাপ্রিকট; ২০০০ মিটারের বেশি উচ্চতায় কমলালেবু, আপেল, নাসপাতির মত ফলের গাছ লাগানো যায়।

উত্তরবঙ্গের সমতলভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলে কাঁঠাল, আম, জাম, সজনে, লেবু, সুপারি, লিচু, সবেদা, নারকেল লাগানো যাবে। গাঙ্গেয় পলিমাটি অধ্যুষিত সমভূমি অঞ্চলে আম, কাঁঠাল, জাম, সুপারি, জামরুল, লিচু, পেয়ারা, নারকেল, আতা, সজনে, সবেদা লাগানো যায়। আর রাঙ্গামাটি অঞ্চলে আম, কাঁঠাল, তেঁতুল, পেয়ারা, তাল, খেজুর, জাম, কুল, লেবু, আতা, কুল গাছ রোপণ করা যায়। এই ফলগাছগুলির কোনোটির রয়েছে খরা সহ্য করার ক্ষমতা, কোনোটি নোনা-জমিতে জন্মাতে পারে। কোনো গাছ ভাল হয় উঁচু পাহাড়ি এলাকায়, কোনো গাছ আর্দ্র আবহাওয়া পছন্দ করে। তাই তা বিবেচনা করেই নির্বাচন করতে হবে উপযুক্ত ফলের গাছ।

সামাজিক বনসৃজনের জন্য তৈরি করতে হবে চারা তৈরির নার্সারী, বন-বাগান বা কৃষিবন (Farm Forestry) যার অপরিহার্য অঙ্গ ফলের গাছ। বনদপ্তরের বিভাগীয় নার্সারীতে তৈরি ফলের চারা করতে হলে তৈরি করে নিতে হবে চারাকুশলীদের, যারা নানান ফলের গ্রাফটিং (জোড়কলম), বাডিং (কলিকলম), লেয়ারিং (গুটিকলম), কাটিং (ডালকলম) করে চারা তৈরি করবেন এবং সরকার তা ক্ষুদ্র / প্রান্তিক কৃষক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিতরণ করবেন সবুজায়নের জন্য। এই ফলের চারা ব্যবহৃত হতে পারে গ্রাম-বনবিতান, সারিবন রচনার কাজে। কৃষক নিজের জমিতেই তৈরি করতে পারেন বাগিচাভিত্তিক কৃষি-বন বা বন-বাগান। কৃষক তার উঁচু জমি, খামারের বেড়া, জমি-জিরেতের আল, পতিত জমি, অনুর্বর জমি, ফালিজমি, আবাস সন্নিহিত আঙ্গিনায় লাগাতে পারেন ফলের চারা।
সারিবন বা সারিবদ্ধ-বন সামাজিক বনসৃজনের অপর একটি উল্লেখযোগ্য অঙ্গ। এতে পথিপার্শ্বে, সেচনালার পাড়ে, নদীর তীরে, বন্যারোধী নদীপাড়ের বাঁধে রচনা করা যাবে সমাজভিত্তিক বন। জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক, বড় জেলা সড়ক এবং অন্যান্য সড়কের ধারে সারিবন গড়ে তোলার এক উল্লেখযোগ্য জায়গা। পথের পাশে আম্রবিথী কেন গড়ে তোলা যাবে না? কেন পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মত রাঙ্গামাটির সড়কের ধারে সারিবন হবে না তেঁতুলের, কিংবা আমলকী-বিথী, কেন্দু-পিয়াল-মহুয়া গাছ?

গ্রামীণ পথের ধারে অপরিসর স্থানে যেখানে বন্যার সময় আশ্রয় নেয় মানুষ, যেখানে বাঁধা পড়ে গৃহপালিত পশুর দড়ির খুঁটি, সেখানেও লাগানো যাবে ফলের চারা; হয়তো স্বসহায়ক দলের কর্মীরা তার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন, কিছু আয় হবে তাদের, গাঁয়ের ছেলে-ছোকড়ারা পেড়ে খাবে কিছু ফল। সাম্প্রতিককালে গাঁয়ের সবুজায়নে গ্রাম্যপথের পাশে অনুপম শোভায় সজ্জিত সারিবন এক নতুন পদক্ষেপ হতে পারে। এমন ফল লাগানো উচিত যার খানিক খেয়ে বাঁচে পাখপাখালি, হনুমান, কাঠবেড়ালি, ভাম-খটাস। আর পোষক গাছের পাতা খেতে আসে অসংখ্য প্রজাপতির শুঁয়োপোকাও, তার রূপান্তরের নান্দনিকতায় দেখা মেলে ইন্দ্রধনুর পাখা।

গ্রামীণ বৃক্ষপুঞ্জ রচনা করা যাবে পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা জমিতে, এজমালী জমিতে। এই জমিতে বনমহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে ফলের গাছ লাগিয়ে তা গ্রামের মানুষের সামনে তুলে ধরা যেতে পারে আদর্শ কৃষিবন হিসাবে। মিশ্র ফলের বাগানে রাখা যেতে পারে প্রধান ফলের সঙ্গে গৌণ ফলের জার্মপ্লাজম। ঘন করে দ্বিবেড়া সারিতে বেঁটে জাতের ফলের গাছ লাগালে তা থেকে বেশি আয় করা সম্ভব। এই বৃক্ষপুঞ্জকে ঘেরবার বেড়াগাছ হিসাবে লাগানো যাবে করমচা, সজনের গাছ। অনেক সময় বাগানের উত্তর সীমায় লাগানো যায় সারি সারি তালের গাছ, তা থেকে পাওয়া তালের রস থেকে তৈরি করা যায় তালপাটালি। যদিও প্রচলিত নেই সঙ্গবদ্ধ রস-খেজুর চারা লাগানোর প্রথা, কিন্তু আগামীদিনে রস-খেজুর গাছের ঘন বাগান করে সিউলিদের বসিয়ে শীতকালে খেজুরগুড় তৈরি করানো যায়, খেজুরের পাতায় তৈরি হয় নানান লোকশিল্প সামগ্রী।

পার্ক, স্কুল ও অফিস চত্বরে অনেক দূরত্ব রেখে ফলের গাছ লাগাতে হবে। কেননা সেখানে দুটি গাছের মধ্যের অংশ নানা কাজে লাগে। কিন্তু রাস্তার ধারে ফলের গাছ লাগালে দূরত্ব খানিক কমালেও চলবে। প্রয়োজনে সেই ফলগাছের ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে। গাছের শাখার বিস্তার অনুযায়ী মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ধারণ করতে হবে। গাছ লাগানোর পর গবাদিপশুর জন্য বেড়া দিতে হবে, গাছকে খাড়া রাখতে দিতে হবে বাঁশের ঠেকনা। গাছ লাগাতে হবে জুন-জুলাই মাসে বর্ষার শুরুতে, নির্দিষ্ট দূরত্বে গর্ত আগেই খুঁড়ে রাখতে হবে। গর্তে গাছ লাগানোর আগে প্রয়োগ করতে হবে পরিমাণ মত জৈব (কম্পোস্ট বা গোবর সার এবং হাড়ের গুঁড়ো) ও অজৈব সার (সিঙ্গল সুপার ফসফেট ও মিউরিয়েট অব পটাশ)। চারা বসানোর সময় জৈব কীটনাশক কিংবা দানাদার কেমিক্যাল কীটনাশক যেমন ক্লোরোপাইরিফস ব্যবহার করতে হবে। গাছ মাটিতে বসানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন মাটির বলটি যেন জমির লেবেলের নিচে থাকে। লাগানোর সময় গোড়ার মাটি ভালোভাবে চেপে দিতে হবে।

ড. কল্যাণ চক্রবর্তী।

তথ্যসূত্রঃ

১. কল্যাণ চক্রবর্তী (২০১৩) গাছপালাঃ সমাদর, অনাদর, সৃজন ও পরিচর্যা, পঞ্চায়েতী রাজ ৬(৭):৯-১৩।
২. গৌতম চ্যাটার্জী (২০১৩) সামাজিক বনসৃজন, পঞ্চায়েতী রাজ ৬(৭):৫-৮
৩. শুভমনকথা (২০১১) ৬(৬):৯-১৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.