লোকসভা নির্বাচনের অন্তিম তিন দফার নির্বাচনকে সন্মানের লড়াই হিসেবে লড়তে চাইছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (RSS) । যেকরেই হোক বিজেপিকে সবথেকে বেশি আসনে জেতানর জন্য RSS পশ্চিমবঙ্গ সমেত দলের প্রভাবে থাকা ৯টি রাজ্যে ৮০ হাজার বরিষ্ঠ এবং প্রশিক্ষিত স্বয়ংসেবকদের ময়দানে নামিয়েছে। তাঁদের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার, প্রভাবশালী মানুষদের সাথে পরামর্শ এবং প্রতিটি এলাকায় গিয়ে ছোট ছোট বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্ঘের এই অভিযানে ভোটারদের এটাই বোঝানো হবে যে, বিগত পাঁচ বছরে নরেন্দ্র মোদীর দেশের উন্নয়নের জন্য কি কি কাজ করেছে, আর কেন নরেন্দ্র মোদীকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
স্বয়ংসেবকেরা ভোটারদের সামনে মোদীর শাসন কালে সন্ত্রাসবাদীদের জম্মু কাশ্মীরের বাইরে বেরাতে না দেওয়া, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে একঘরে করে দেওয়া এবং বিশ্বের সামনে ভারতকে বিশ্বগুরু করার কাজকে তুলে ধরবে। তাঁরা দেশের ভবিষ্যৎ এর কথা তুলে ধরে আগামী দিনে কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আরও একবার প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে, সেটা বোঝাবে তাঁরা। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম চার দফার ভোটে সঙ্ঘ পুরোদমে সক্রিয় ছিল। কিন্তু এবার শেষ তিন দফার ভোটের জন্য মেগা প্ল্যান বানাচ্ছে সঙ্ঘ।
সঙ্ঘ সূত্র অনুযায়ী, শেষ তিন দফার ভোটের ফলাফলই নতুন সরকারের রূপরেখা স্থির করবে। শেষ তিন দফায় উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি, বিহার আর হিমাচল প্রদেশের ১২৯ আসনের মধ্যে ৯১ শতাংশ আসন বিজেপি কাছে ছিল। বিজেপির সামনে পশ্চিমবঙ্গে বাকি ২৪ টি আসনে ভালো ফল করার লক্ষ্য রাখতে হবে। আর এই জন্যই সঙ্ঘ প্রথমবার চরম ভাবে সক্রিয় হতে চলেছে।
শেষ তিন দফার ১৬৯ টি আসনের মধ্যে বিজেপি একাই ১১৬ টি আসন আর সহযোগী দলের সাথে ১২৭ টি আসনে গতবার জয় হাসিল করেছিল। উত্তর প্রদেশের ৪১ এর মধ্যে ৩৮, মধ্যপ্রদেশের ২৩ এর মধ্যে ২২, বিহারের ২১ এর মধ্যে ১৯, হরিয়ানার ১০ এর মধ্যে ৭, ঝাড়খণ্ডে ১১ এর মধ্যে ৯, দিল্লির ৭, আর হিমাচলের ৪ টি আসনে বিজেপি জিতেছিল। এবার বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের আসন গুলোকে পাখির চোখ করে রেখেছে। আর সেই জন্য বিজেপি এবং RSS এরাজ্যে এবার কোমর বেঁধে নেমেছে।