‘‌সম্ভবত ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে’‌, রামপুরহাট নিয়ে মন্তব্য ডিজি’‌র

রামপুরহাটে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ১০ জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ মিলেছে। এই ঘটনার আগে উপপ্রধানকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা নিয়ে ডিজি’‌র রিপোর্ট তলব করল নবান্ন। সেই রিপোর্ট প্রস্তুতির মধ্যেই রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি নেই বলে দাবি করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তাঁর দাবি, সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের নিহত হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে সাত–আটটি বাড়িতে আগুন লাগে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

নবান্ন সূত্রে খবর, রামপুরহাটের এই ঘটনায় ওখানের থানার ওসি এবং এসডিপিও–কে ক্লোজ করা হয়েছে। এমনকী জ্ঞানবন্ত সিং, মিরাজ খালিদ এবং সঞ্জয় সিং–এর নেতৃত্বে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (‌সিট)‌ গঠন করা হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। ওই দলে আছেন দুই বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিজিৎ সিং।

ঠিক কী বলেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি?‌ এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেন, ‘এই ঘটনায় একই বাড়ির সাতজন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সম্ভবত ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখার জন্য সিট গঠন করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, সোমবারই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। তিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তারপর রাত থেকেই সেখানে শুরু হয় তাণ্ডব। একের পর এক গ্রামের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কী করে আগুন লাগল? সত্যিই কি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল? কে আগুন ধরিয়েছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.