উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রায় ৪৫টি চিনা লগ্নিকে ছাড়পত্র দিতে চলেছে নয়াদিল্লি

গালওয়ানে সংঘর্ষের জেরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল দুই প্রতিবেশী ভারত ও চিনের (China) মধ্যে, সম্প্রতি তাতে ভাটা পড়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কিছু অংশ থেকে সেনা সরিয়েছে দু’দেশই। তারই প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যেও। কেন্দ্রের দুই শীর্ষ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রায় ৪৫টি চিনা লগ্নিকে ছাড়পত্র দিতে চলেছে নয়াদিল্লি। তার মধ্যে গ্রেট ওয়াল মোটর, এসএআইসি মোটর কর্পোরেশনের মতো সংস্থা রয়েছে।


উল্লেখ্য, এই সমস্ত লগ্নির প্রস্তাব গত বছর থেকে আটকে ছিল। লাদাখে চিনা আগ্রাসন ও গালওয়ানে সংঘর্ষের পর চিনা লগ্নি, চিনা পণ্য আমদানি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করে ভারত। যার জেরে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের ১৫০টি প্রকল্পের প্রস্তাব ধামাচাপা পড়ে যায়। যে সমস্ত জাপানি এবং মার্কিন সংস্থা হংকংয়ের মাধ্যমে লগ্নি করে, সেগুলিও বিপাকে পড়ে। অবশেষে জট কাটতে চলেছে। যে সমস্ত চিনা সংস্থা লগ্নির প্রস্তাব দিয়েছিল, তাদের অধিকাংশই ছাড়পত্র পাবে বলে জানিয়েছেন দুই আধিকারিক। অধিকাংশই উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। যা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর নয় বলেই মনে করা হয়। সরকারের দুই সূত্র এবং শিল্প মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভাব্য তালিকায় গ্রেট ওয়াল মোটর এবং এসএআইসি মোটর কর্পোরেশনের নাম রয়েছে। ভারতে সংস্থার গাড়ি কারখানা যাতে চিনা সংস্থা গ্রেট ওয়াল মোটর কিনতে পারে, সে জন্য তাদের সঙ্গেই যৌথভাবে ছাড়পত্র চেয়েছিল জেনারেল মোটরস। ২৫-৩০ কোটি ডলারের চুক্তি হতে পারে।

জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক বছরে ভারতে ১০০ কোটি ডলার লগ্নির পরিকল্পনা রয়েছে গ্রেট ওয়াল মোটরের। চলতি বছর থেকেই ভারতে গাড়ি বিক্রি করতে চায় তারা। আনতে চায় বৈদ্যুতিন গাড়িও। সরকারি সমস্ত নীতি, আইন মেনেই তারা ব্যবসা করতে চায় বলে জানিয়েছে। এসএআইসি মোটর কর্পোরেশন ২০১৯ থেকে তাদের ব্রিটিশ ব্রান্ড এমজি মোটরের নামে ব্যবসা শুরু করেছে। ভারতে ইতিমধ্যে ৪০ কোটি ডলার লগ্নি করেছে। আরও ২৫ কোটি ডলার লগ্নির জন্য ছাড়পত্র চেয়েছে। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে তারা কোনও মন্তব্য করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.