বিজয়া দশমীর শুভকামনা জানিয়ে করোনাকালে সতর্কতার আর্জি মোদীর মন কা বাতে

বিজয়া দশমী ও দশেরার শুভকামনা করে করোনাকালে সতর্কতার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার মন কা বাত অনুষ্ঠানে এই সঙ্গে তিনি স্থানীয় পন্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আবেদন করেন। 
মোদীজী বলেন, “আজ বিজয়া দশমী, মানে দশেরা পার্বন | এই পুণ্য উপলক্ষে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা | দশেরার এই পার্বন অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের বিজয়েরও পার্বন বটে | কিন্তু একইসঙ্গে এ হলো একরকম সংকটে ধৈর্য বজায় রেখে বিজয়েরও পার্বন | আজ আপনারা সবাই অনেক সংযমের সঙ্গে জীবনযাপন করছেন |মর্যাদার সীমায় থেকে পার্বন , উৎসব উদযাপন করছেন | এজন্য যে লড়াই আমরা করে চলেছি , তাতে আমাদের জয়ও সুনিশ্চিত |
 আগে দুর্গা পূজার মন্ডপে মাকে দর্শনের জন্য এতটাই ভীড় জমে যেত, একটা মেলার মত পরিবেশ তৈরী হয়ে যেতো | কিন্তু এবার সেরকমটা হয়নি | আগে দশেরাতেও বড় বড় মেলা বসতো | কিন্তু এবার এর চেহারাটাই অন্যরকম| রামলীলার উৎসবেরও অনেক বড় আকর্ষণ ছিলো | কিন্তু তাতেও কিছু না কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে | আগে নবরাত্রিতে গুজরাটের গরবার গুঞ্জন সর্বত্র ছেয়ে থাকতো| এবার বড় বড় সব আয়োজন বন্ধ | এখন তো সামনে আরও পার্বন আসছে | এরপর ঈদ আছে, কোজাগরী পূর্নিমা আছে, বাল্মিকি জয়ন্তী আছে , তারপর ধনতেরস , দীপাবলি, ভ্রাতৃদ্বিতীয়া, ছটমায়ের পুজো, গুরু নানকদেবজীর  জয়ন্তী  আছে –করোনার এই সংকট সময়ে আমাদের সংযমী হতে হবে, নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যেই থাকতে হবে |    
বন্ধুগণ, আমরা যখন উৎসবের কথা বলি, প্রস্তুতি নিতে থাকি, তখন সবার আগে এই কথাই মনে আসে , যে কখন বাজারে যাব ? কী কী কিনবো ? বিশেষ করে ছোটদের মনে তো এ ব্যাপারে বিশেষ উৎসাহ দেখা যায় – এবার উৎসবে নতুন কী পেতে চলেছি ? উৎসবের এই উদ্দীপনা এবং বাজারের ঝা-চকচকে চেহারা––একে অপরের পরিপূরক |
কিন্তু এবার যখন আপনারা কেনাকাটা করতে যাবেন , তখন অবশ্যই ভোকাল ফর লোক্যালের ব্যাপারে নিজেদের সংকল্প মনে রাখবেন| বাজার থেকে জিনিস কেনার সময় আমাদের স্থানীয় উৎপাদন সামগ্রীকে অগ্রাধিকার দিতে হবে |বন্ধুগণ, উৎসবের এই আনন্দ-উল্লাসের মধ্যে লকডাউনের সময়টাকেও মনে রাখা উচিৎ | লকডাউনে আমরা সমাজের সেই বন্ধুদের আরও কাছে থেকে জেনেছি, যাদেরকে ছাড়া আমাদের জীবনযাপন খুব কষ্টকর হয়ে উঠত––সাফাই কর্মী, ঘরোয়া কাজে নিয়োজিত ভাই-বোনেরা, লোকাল সবজি ব্যবসায়ী, দুধওয়ালা, সিকিউরিটি গার্ড, এই সবারই আমাদের জীবনে কী ভূমিকা আছে, আমরা এখন তা ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পারছি|কঠিন সময়ে তাঁরা আপনাদের সঙ্গে ছিলেন, আমাদের সবার সঙ্গে ছিলেন | এখন আমাদের পার্বনে, আমাদের খুশিতেও তাঁদের আমাদের সঙ্গে রাখতে হবে | আমি চাইছি যে, যেভাবেই হোক , তাঁদের অবশ্যই আমাদের খুশির আয়োজনে সামিল করতে হবে | পরিবারের সদস্যের মত করতে হবে, তারপর দেখবেন আপনার খুশি আরও কত বেড়ে যায় !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.