সত্যকে অকপটে বলার নাম ই সাহস যা আজকের চাটুকার লিবারেল বা বিজ্ঞজনেরা হারিয়ে ফেলেছে। সারা বিশ্বব্যাপী প্রায় হাজার বছর ধরে ইসলাম যে তাণ্ডব শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে কজন ইসলামিক ধর্মগুরুকে রুখে দাঁড়াতে দেখেছেন??

মহাভারতে গান্ধার প্রদেশের রাজকন্যা গান্ধারীর সাথে ধৃতরাষ্ট্রের বিবাহ হয়েছিল, আপনারা জানেন এই গান্ধার প্রদেশটি কোথায়??? এই গান্ধার প্রদেশটির বর্তমান নাম আফগানিস্থান। মহাভারত মহাকাব্যের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো ভারতের রাষ্ট্র পরিচয়। মহাভারতে উল্লেখিত সকল প্রদেশগুলো নিয়েই প্রকৃতপক্ষে ছিল অখন্ড ভারতবর্ষ।সে এক স্বর্ণযুগের কথা যখন সমগ্র বিশ্বময় এবং সমগ্র মধ্য এশিয়া জুড়ে প্রকৃতির উপাসক (Pagan) কিংবা প্রাকৃতিক ধর্ম বিরাজ করতো। গান্ধার বা বর্তমানের আফগানিস্থান সেই সময় ছিল উন্নত নগর সভ্যতা কিন্তু কিভাবে তা ধীরে ধীরে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে তালিবানের স্বর্গরাজ্য হল??
হাজার হাজার বছরের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে আফগানিস্থান ছিল মূলত পৃথিবীর সবথেকে শান্ত এবং সুশৃংখল জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। কৃষি শিক্ষা স্বাস্থ্য সবদিকেই তারা উন্নতি ঘটিয়েছিল বিশ্বের সব থেকে বৃহৎ প্রাচীন শস্যভান্ডার গুলোর নিদর্শন আফগানিস্থানে আজও আছে। এখানকার নাগরিকরা সকলেই ছিলেন সনাতনী হিন্দু ভাবাদর্শের মানুষ এর পরবর্তী সময়ে এদের বৃহদংশ বৌদ্ধ ধর্মের পথে হাঁটে। এজন্যই বিশ্বের বৃহত্তম বৌদ্ধ মূর্তি বামিয়ান আবগানিস্থানেই তৈরি হয়েছিল কিন্তু সবকিছু বদলে গেল একটি মনুষ্য নির্মিত গোষ্ঠীবাদ বা ভালো কথায় বলতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে।
মানববিরোধী এই জনগোষ্ঠী তার সাথে করে সমাজ ধ্বংসের যে বাণী নিয়ে এলো তা ইরান-ইরাক পাকিস্তান আফগানিস্তানকে সমূলে ধ্বংস করে দিল। পারসিক কিংবা বৈদেশিক শক্তিগুলো আফগানিস্তানকে মূলত আরিয়ানা বা আর্যদের বাসভূমি বলে জানত কিন্তু মুহুর্মুহু ইসলামিক আক্রমণে আফগানিস্তানের সমগ্র সভ্যতা ,রীতিনীতি ,সংস্কৃতি সব ধ্বংস হয়ে গেল।ভালো করে ভেবে দেখলে বুঝতে পারবেন পৃথিবীতে ইসলাম ই একমাত্র ধর্ম যার ধর্মগুরু বা মহান বাণী বা জীবনশৈলী দেখে মানুষ আকৃষ্ট হয়ে এসে এই ধর্ম গ্রহণ করেনি বরং এ ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে কেবলমাত্র ইসলামিক দস্যু রাজারা।খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে আরব সৈন্যরা আফগানিস্তানে নতুন ধর্ম ইসলাম কে নিয়ে আসে। পশ্চিমের হেরত ও সিস্তন প্রদেশ আরবদের নিয়ন্ত্রণে আসে, কিন্তু আরব সৈন্য চলে যাওয়া মাত্রই সেখানকার জনগণ তাদের পুরনো ধর্মে ফেরত যায়। ১০ম শতকে বর্তমান উজবেকিস্তানের বুখারা থেকে সামানিদ নামের মুসলিম শাসকবংশ আফগান এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেন। এক সামানিদ গজনীতে গজনভি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। গজনীর সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা মাহমুদ ৯৯৮ থেকে ১০৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এ এলাকা শাসন করেন। খুন ধর্ষণ লুণ্ঠন এর দ্বারা তার সময়েই সমগ্র আফগানিস্তানে ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। 
আজ তালিবান আইসিস আল-কায়েদা বা পৃথিবীর সমস্ত ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে যে রূপে দেখছেন মধ্যযুগ থেকেই ইসলাম এবং তার রাজন্যবর্গের এটাই আদর্শ চরিত্র এবং রূপ। ধর্ষণ খুন ধনলুন্ঠন এবং দেশ ও রাষ্ট্র দখল। 
আচ্ছা এখানে একটা প্রশ্ন আসতেই পারে কেন কেবল একটি ধর্মকে উল্লেখ করে বারবার সন্ত্রাসবাদি এবং লুন্ঠনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে!! বেশকিছু মহান আত্মারা বলে থাকেন সন্ত্রাসের ধর্ম হয় না। তবে আমি যে কথাগুলো বললাম তা কি সাম্প্রদায়িক?? ধর্মের সঙ্গে সন্ত্রাস কে যুক্ত করা কি ঠিক??
ঠিক…ঠিক একদম ঠিক। সত্যকে অকপটে বলার নাম ই সাহস যা আজকের চাটুকার লিবারেল বা বিজ্ঞজনেরা হারিয়ে ফেলেছে। সারা বিশ্বব্যাপী প্রায় হাজার বছর ধরে ইসলাম যে তাণ্ডব শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে কজন ইসলামিক ধর্মগুরুকে রুখে দাঁড়াতে দেখেছেন?? আইসিস আল-কায়েদার তালেবান এদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর ইসলামিক ৫৯টা দেশের কটা দেশ কে রুখে দাঁড়াতে দেখেছেন??তালিবান আক্রমণে ইতিমধ্যেই প্রায় 3 লক্ষ নারী ধর্ষিত হয়েছে এই কয়েকদিনে, আফগানিস্তানের নারীরা এখন হাস মুরগির মত যৌনদাসী হয়ে বাজারে বাজারে বিক্রি হচ্ছে একবার ভেবে বলুনতো পৃথিবীর কোন মুসলিম বুদ্ধিজীবী, কোন মুসলিম রাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে?? কি খুঁজে পেলেন না তো!!!জীবনে পাবেন না কারান ইসলাম একটা গোষ্ঠীবাদ,আমি একে কোন ধর্ম মনে করিনা। আচ্ছা তালিবানের আক্রমণে কিংবা ভারতে একাধিক ইসলামিক জঙ্গি আক্রমণের জন্য কোনোদিন কোথাও ভারতবর্ষের কোন গ্রামে, কোন গলিতে কখনো একদল মুসলিমকে প্লেকার্ড হাতে প্রতিবাদ করতে দেখেছেন?? কখনো দেখেছেন বিশ্বের কোথাও হাজার হাজার লাখ লাখ মুসলিম জড়ো হয়ে বিশ্ববাসীকে বলছে জঙ্গী বা তালিবানরা ইসলামবিরোধী??
আসলে কোনটাই ইসলাম বিরোধী নয়। শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য তালিবানরা বদ্ধপরিকর কি এই শরিয়া আইন?? পবিত্র ইসলামের বেঁধে দেওয়া কিছু পবিত্র নিয়ম এই যেমন ধরুন আল্লাহর অস্তিত্ব না মানলে আপনি নাস্তিক এবং নাস্তিকের মৃত্যুদণ্ড একটাই জনসমক্ষে ফাঁসি। চুরি করলে হাত কেটে নেওয়ার নিদান তেমনি নারী সন্তান উৎপাদনের বস্তু তাই নারীরা খোলাবাজারে বিক্রি যোগ্য। লুণ্ঠিত বস্তু গনিমতের মাল সেই লুণ্ঠিত বস্তুতে নারী কিংবা শিশু থাকলে তাও গনিমতের মাল। বিজ্ঞান শিক্ষা সংগীত খেলাধুলা এগুলো ইসলাম বিরোধি তাই এগুলো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এমনই সব মধ্যযুগীয় বর্বর আইনের নাম পবিত্র শরিয়া আইন। এখন আপনারা ভেবে দেখুন এই বিংশ শতাব্দীতে মধ্যযুগীয় বর্বর আইন প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা বৃহৎ অংশের জনগোষ্ঠী সঙ্ঘবদ্ধ।
বিংশ শতাব্দিতে যখন আমরা মঙ্গল অভিযান করছি তখনো পৃথিবীতে শরিয়া আইন চালু হচ্ছে এটাই পরিষ্কার করে দেয় এই ক্রমান্বয় যুদ্ধ থামার নয় বরং মানবজাতি রক্ষার্থে এক ভয়ানক যুদ্ধের আগমন অত্যন্ত নিকটে। ভালো করে নিচের ছবিটি দেখুন বুদ্ধদেবের একটি মূর্তির পাশেই A K 47 নিয়ে বসে একজন তালিবান সিগারেট খাচ্ছে। বৌদ্ধ ধর্ম আজ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে আফগানিস্থানে,বুদ্ধদেবের মূর্তি টি অসহায়ের মতো A K-47 এর সামনে দাঁড়িয়ে, তাকে ফেলে প্রাণ ভয়ে পালিয়েছে অহিংসার পূজারীরা। এটাই প্রকৃতির নিয়ম, অপ্রাকৃতিক যেকোনো কিছুই প্রকৃতি ভেঙে গুঁড়িয়ে মিলিয়ে দেয়। অহিংসা পরম ধর্ম এটি যদি বৌদ্ধ ধর্মে বা কোন ধর্মের মূল বাণী হয় তবে সেই গোষ্ঠী সেই দর্শন অপ্রাকৃতিক তাই তাকে ধংস হতেই হবে। হিংসা ও প্রতিরোধ এটাই প্রকৃতি প্রথম শিক্ষা। বিজ্ঞানের ভাষায় struggle for existence and survival of fittest। প্রকৃতির সত্যটাকে মেনে নিয়ে মানব জাতিকে সঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে। ভারতবর্ষের সমগ্র সীমানা জঙ্গী ISI মুজাহিদ তালিবান এবং তাদের পরম মিত্র কমিউনিস্টরা ঘিরে ফেলেছে। ভারতীয়দের ও আর পালাবার পথ নেই। পথ একটাই প্রতিরোধ করতে সঙ্ঘবদ্ধ এবং দলবদ্ধ হওয়া। তা হতে পারলে শেষ যুদ্ধে টিকে যাবেন, নয়তো প্রকৃতির নিয়মে বিলীন হয়ে যাবেন।যুদ্ধ কিন্তু অবশ্যম্ভাবী।আমি কিন্তু এই যুদ্ধে চুপচাপ আমার জায়গা টা বেছে নিয়েছি। আপনারাও করুন ,পরে আর সিট খালি থাকবে না।। মনে রাখবেন, “ঈশ্বরের যন্ত্র দেরী হলেও সব সৃষ্টি বিরোধীকে গুড়িয়ে দেয়,কাউকে রেয়াত করে না। মাঠের পাশে বসে যারা মজা দেখে বা অপেক্ষা করে তাদের ও না।।”….#এক
Collected From Argha Chowdhury

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.