বিশ্বজুড়ে ইসলাম ছাড়ার হিড়িক ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে । খবরের কাগজ সংবাদ মাধ্যমের খবর ও পরিসংখ্যানে তা স্পষ্ট । এখন প্রশ্ন হলো এর প্রভাব কি তাহলে পড়তে শুরু করেছে ইসলামের জন্মস্থান সৌদি আরবেও? সম্প্রতি মীম ম্যাগাজিনে বেরোনো খবরে পৃথিবী জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয় সৌদি আরব সরকার কোরানকে পৃথক বিষয় হিসেবে স্কুলে পড়ানো হোক তা চায় না।
সৌদি প্রশাসনের এরূপ ভাবার পেছনে কারণ হলো কোরানের কট্টরপথের জন্য ইসলামের ভাবমূর্তি খারাপ সারা পৃথিবীতে। কট্টরতাকে আঁকড়ে ধরে রেখে লাভ নেই কারণ এর ফলে মুসলিমরা ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়ছে।
সুতরাং ইসলামকে পরিশীলিত করতে হবে যাতে করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইসলামের জেহাদিদেএ ধর্ম হিসেবে বদনাম ঘুছে যায়।
আন্তর্জাতিক ইসলামিক জিহাদের মদতদাতা দেশ বলে অভিযুক্ত সৌদি আরবে রামায়ণ, মহাভারত, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মের বই পড়ানো হবে বলে আগেই ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রশ্ন জাগছে তাহলে কি ইসলামের প্রতি আস্থা হারিয়ে হিন্দু ধর্মের দিকে ঝুঁকছে সৌদি আরব, নাকি অর্থনৈতিক কারণ আছে এর পেছনে?
সরকার এখন অনুমোদন দিয়েছে মদিনা -আল- মুনাওয়ারায় যা কিনা আবার নবী মোহম্মদের চির নিদ্রার স্থান ওখানে সিনেমা হল ও বিনোদন ক্ষেত্র খোলার।
এই সিদ্ধান্তে চটে লাল ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলমান ধর্মগুরুরা। তাদের মতে তা করা ইসলাম বিরোধী। তারা সৌদি সরকারের বিনোদনের ক্ষেত্রকে “মারকজ -এ- সায়াতিন ” অর্থাৎ শয়তানের আড্ডাখানা ও “বে হইয়াই কে আড্ডা ” মানে অশ্লীলতার আড্ডা স্থান বলছে।
ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী, তেলের উপর নির্ভরতা থেকে ওই দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাবার জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন ও পর্যটন ক্ষেত্রকে ঢেলে সাজাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। জেহাদের অর্থনীতিতেও পড়েছে ভাঁটা, সুতরাং যুবরাজ বিন সলমন বুঝে গেছেন কট্টর ইসলাম আঁকড়ে ধরে আর বেশিদিন টেকা যাবে না।
একই সঙ্গে, পৃথিবী জুড়ে প্রতিদিন বহু মানুষ ইসলাম ত্যাগ করছে। আফ্রিকা ইউরোপ ও এশিয়াতে ইসলাম ত্যাগ করা মানুষের সংখ্যা বিপুল।
২০১৩ সালের আল জাজিরা টেলিভিশন তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছিলো আফ্রিকাতে প্রতি বছর ৬ মিলিয়ন মানুষ ইসলাম ত্যাগ করে। এতদিনে এই সংখ্যা সম্ভবত অনেক গুণ বেড়ে গেছে।