আজাদি কা মতলব ক্যা, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ!

ভারতের চল্লিশজন বীর সৈনিকের নৃশংস হত্যার সঙ্গেই উপরিউক্ত স্লোগান শোনা গেছে বারামুলার ঘিঞ্জি গলিগুলোতে। যারা সেই স্লোগান দিচ্ছে, দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে দশ বছরের বাচ্চাও আছে, ত্রিশ বছরের যুবকও আছে। কিন্তু এরা কেউই অশিক্ষিত বা গরিব নয়।

কাশ্মীরের সমস্যাকে বামপন্থীরা চিরকালই ‘আজাদি’র দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পরিবেশন করে এসেছে। এদের কাছে তিব্বতের আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবি অযৌক্তিক, যদিও তিব্বত কখনো স্বেচ্ছায় চীনের মধ্যে বিলয়ে স্বাক্ষর করেনি। উল্টোদিকে কাশ্মীরের জনগণকে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দেওয়া দরকার, যদিও কাশ্মীর নিঃশর্তে ভারতে বিলয়ে স্বাক্ষর করেছিল। বামপন্থীদের সেই পুরোনো ঢোলটা এবার ফাঁসিয়ে দিয়েছে কাশ্মীরি সন্ত্রাসীরাই। কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি? মিথ্যে কথা। আজাদি কা মতলব ক্যা, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এই স্লোগানেই অর্থ একটাই। স্বাধীনতা নয়, ওদের লক্ষ্য ইসলামিক রাষ্ট্র। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নয়, এটা ধর্মীয় আগ্রাসন। যারা এই আগ্রাসনের হোতা, তাদের লক্ষ্য কিন্তু শুধুমাত্র কাশ্মীর নয়, তাদের লক্ষ্য গোটা ভারতবর্ষ। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঘোষিত উদ্দেশ্য হলো ‘জিহাদ-ফি- সবিলিল্লাহ’, যার মানে, আল্লার জন্য নিরন্তর জিহাদ। এটা হলো ঘোষিত উদ্দেশ্য। অঘোষিত উদ্দেশ্য হলো, ‘ঘজওয়া-এ-হিন্দ’, যে কথাটা প্রায়দিন পাকিস্তানিদের মুখে শোনা যায়। ইসলামের প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামের পয়গম্বর যে যুদ্ধ করেছিলেন, তাকেই ‘ঘজওয়া’ বলে। তাহলেই বলুন, জিহাদ-ফি -সবিলিল্লাহ ও ঘজওয়া-এ-হিন্দ, এই যাদের লক্ষ্য, সম্মান ও স্বাধীনতা বজায় রেখে তাদের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের কোনো উপায় আছে কি? নেই। হাজার বছরেও শান্তি হবে না। ইসলামিক স্টেট তাদের মানচিত্রে ভারতকে তাদের সাম্রাজ্যের অঙ্গ হিসেবে দেখিয়েছে, ভারতের নতুন নাম দিয়েছে ‘খোরাসান’। সেখানে কাশ্মীরের কোনো আলাদা গুরুত্ব নেই। মিলিটারির ভাষায় ‘বিচহেড’ বলে একটা কথা আছে, যার মানে হলো, শত্রুর এলাকায় পা রাখার জায়গা, যেখান থেকে পরবর্তী আক্রমণ চালানো যায় শত্রুর এলাকার গভীরে। পাকিস্তান এদের কাছে ছিল প্রথম বিচহেড, কাশ্মীর হলো এদের কাছে পরবর্তী বিচহেড। একটা ভুল ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসার দরকার আছে আমাদের। পুলওয়ামায় যেটা হলো, সেটা সন্ত্রাসী আক্রমণ নয়, সেটা যুদ্ধ। সেটা জেহাদ, ধর্মীয় আগ্রাসন। পৃথিবী থেকে প্রতিটি অমুসলমানকে মুছে ফেলবার অভিযান। ভারতের এখন কী করা দরকার? এই ধর্মীয় আগ্রাসনকে মেনে নেওয়া? আজ এই আগ্রাসন মেনে নিলে আগামীকাল গোটা দেশটাই এদের হাতে তুলে দিতে হবে। মধ্যযুগে ফিরে যাবে ভারতবর্ষ, যখন নিরীহ হিন্দু প্রজাদের মুণ্ড দিয়ে বিজয়স্তম্ভ বানাতো মুসলমান শাসকরা, আপন খেয়ালখুশিতে। সেই পরিস্থিতির থেকে মৃত্যুও শ্রেয়।

এই আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে গেলে আজই কিছু করে দেখতে হবে। কিন্তু কী কী বিকল্প আছে ভারত সরকারের হাতে? প্রথম বিকল্প হলো, সরাসরি যুদ্ধ।

সরাসরি যুদ্ধে মাত্র সাতদিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পাকিস্তান ভারতের দখলে আসতে পারে। যদি ভারত সরকার সেই বিকল্প বেছে নেয়, তবে কয়েকটা ব্যাপার সামলাতে হবে তাকে। চীন তার সেনাবাহিনী পাঠাতে পারে পাকিস্তানকে বাঁচাতে। সেক্ষেত্রে যুদ্ধ মাটি ছেড়ে আকাশে উঠবে। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠবে সেক্ষেত্রে। একই কথা ভারতীয় বায়ুসেনার বিষয়ে বলতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু রাফাল বিতর্ককে কেন্দ্র করে আমরা জানতে পেরেছি, ভারতীয় বায়ুসেনার পরিস্থিতি সুবিধের নয়। কংগ্রেসের আমলে কোনো নতুন যুদ্ধবিমান কেনা হয়নি। নিয়মিত রাফাল নিয়ে অভিযোগ করে মোদীকেও নতুন বিমান কিনতে দেয়নি। পুরোনোগুলোর অবস্থা লড়ঝড়ে। তাই মূলত ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভরসা করেই ভারতকে আকাশে লড়তে হবে।

চীন কি সত্যিই পাকিস্তানকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে? পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের তিনটি স্বার্থ জড়িয়ে আছে। এক, চীন মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ব্যবসার জন্য পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর ব্যবহার করে। দুই, পাকিস্তানের মাধ্যমে ভারতকে দুর্বল করে রাখে। তিন, বিশ্বের সর্বত্র ইসলামি সন্ত্রাসীদের মদত জোগালেও চীনের উইঘুর সন্ত্রাসীদের মদত জোগায় না পাকিস্তান। এর কোনোটিই অপরিহার্য স্বার্থ নয়। পাকিস্তানের গোয়াদরের পরিবর্তে ইরানের চাবাহার ব্যবহার করতে পারে চীন। ভারতকে দুর্বল রাখা আর সম্ভব নয়, এই বাস্তব পরিস্থিতিটা চীনের নেতৃত্বকে বুঝতে হবে। পাকিস্তানের বিলয় হলে তৃতীয় সমস্যাটাও থাকবে না। উল্টোদিকে, চীনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ বাঁধলে আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া ও ভিয়েতনাম ভারতকে সাহায্য করতে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারে। মোদী এই সবকটি দেশের সঙ্গেই গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে রেখেছেন আগে থেকে, হয়তো এমন একটি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই। চীনের দিক থেকে দেখলে এই যুদ্ধে তাদের বিশেষ কোনো লাভ নেই, তাদের অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

দ্বিতীয় যে বিষয়টি সরাসরি যুদ্ধে ভারতের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে সেটা হলো, পাকিস্তানের পরমাণু শক্তি। একাত্তরে ইন্দিরা গান্ধীকে এই সমস্যাটা নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়নি, কিন্তু আজ মোদীকে ঘামাতে হচ্ছে। ভারতের পক্ষে আছে রাশিয়া থেকে কেনা এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র বিরোধী তন্ত্র, যা একইসঙ্গে ত্রিশটির বেশি ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করতে পারে। আরেকটা ব্যাপার। পরমাণু বোমা কোনো দিশি পেটো নয় যে ছুঁড়লেই ফাটবে। পরমাণু বোমার মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটাতে উচ্চ প্রযুক্তির ইলেক্ট্রনিক ডিটোনেটর ব্যবহার হয়। পাকিস্তান প্রযুক্তিতে উন্নত, এমনটা তাদের পরম মিত্ররাও দাবি করবে না। পাকিস্তান যে বোমাগুলোকে তুরুপের তাস মনে করে, সেই বোমাগুলো আদৌ ফাটবার যোগ্য তো? তার ওপর ইলেকট্রনিক সার্কিটকে দূর থেকে ধ্বংস করবার প্রযুক্তি রয়েছে ভারতের কাছে, তড়িৎচুম্বকীয় শস্ত্র কালী-১০,০০০। পরমাণু যুদ্ধে বিশেষ সহায়ক হবে এস-৪০০ ও কালী-১০,০০০। কিন্তু এতসবের পরেও সন্দেহ থেকেই যায়। যদি সব প্রতিরক্ষার ফাঁক গলে একটা পরমাণু বোমা ভারতের মাটিতে এসে পৌঁছয়? এমন পরিস্থিতিতে ভারত প্রত্যাঘাত করবে, সেই প্রতিঘাতে পাকিস্তান দেশটারই আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। কিন্তু ভারতের প্রধান কয়েকটি শহর ধ্বংস হতে পারে। একশ’ ত্রিশ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে দশ কোটি নাগরিক প্রাণ হারাতে পারে। বহু নাগরিক বিকলাঙ্গ ও অসুস্থ হয়ে বেঁচে থাকবে। ভারতের অর্থনীতি পিছিয়ে যাবে কমপক্ষে দশ বছর। দাসত্বের থেকে মৃত্যু শ্রেয়, সেটা ঠিক। কিন্তু তবুও এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া সহজ নয় কোনো সরকারের পক্ষেই।

দ্বিতীয় বিকল্প হলো, অঘোষিত যুদ্ধ। এই পদ্ধতির সুবিধে হলো, পাকিস্তান চীনের সহায়তা চাইতে পারবে না, পরমাণু অস্ত্রও ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু যুদ্ধ হবে দীর্ঘস্থায়ী, অত্যন্ত জটিল। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিল। এক, পৃথিবীর শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন। দুই, দেশের মধ্যেকার সন্দেহজনক এনজিওগুলোর বিদেশি সাহায্য বন্ধ করা। এই দুটো কাজের সুফল মিলবে এখন। যদি ভারত সরকার অঘোষিত যুদ্ধের বিকল্পটাকে বেছে নেয়, তবে সেই আক্রমণের দুটো অভিমুখ থাকতে হবে। একটি অন্তর্মুখী, অন্যটি বহির্মুখী।

অন্তর্মুখী আক্রমণের অঙ্গ হিসেবে প্রথমেই শায়েস্তা করতে হবে অমন কি আশা ও ‘আজাদি’ গ্যাংগুলোকে, যারা ভারতের মধ্যে বসে মদত জোগাচ্ছে পাকিস্তানকে। একই ব্যবস্থা নিতে হবে কাশ্মীরের ‘হুরিয়ত কনফারেন্স’ মার্কা নেতাদের জন্য। গ্রেপ্তার ও বিচারের লম্বা পদ্ধতি এড়িয়ে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে এদের। যারা অন্যদের পরকালে হুরির লোভ দেখায়, সেই হুরিয়ত নেতাদের স্বর্গে হুরিদের কাছে পাঠানো হোক। স্বভাবে এরা ভিতু, একজন দৃষ্টান্তমূলক ঠ্যাঙানি খেলে বাকিরা ভয় পাবে। গড়পড়তা দেখা গেছে, কাশ্মীরের সেনা স্কুলগুলোতে যেসব ছাত্ররা লেখাপড়া করে, তারা দেশভক্ত হয়। উল্টোদিকে মাদ্রাসাগুলো হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীদের আঁতুড়ঘর। এর নিদান হিসাবে মাদ্রাসাগুলোকে বলপূর্বক বন্ধ করে দিতে হবে, স্থানীয় স্কুলগুলোকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। বারামুলার মতো সন্ত্রাসী-অধ্যুষিত জায়গাগুলোর মূল সমস্যা হলো গা-ঘেঁষা বাড়ি, সে বাড়িগুলোর প্রতিটিতেই জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীল লোকেদের বাস। এইসব জায়গায় মহল্লা ধরে ধরে চিরুনি তল্লাসি করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে নকশাল দমনের ও পঞ্জাবে উগ্রপন্থী দমনের অভিজ্ঞতাগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। পাথর ছুঁড়তে আসা তৌহিদি জেহাদিদের বিরুদ্ধে টিয়ারগ্যাস, রায়ট শিল্ড ব্যবহার করতে হবে নির্বিচারে। এদের মধ্যে যারা নেতাগোছের, তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করে বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে চুপিচুপি। আমরা এতদিন কাশ্মীরে শুধুমাত্র পদাতিক সৈন্যদেরই ব্যবহার করে এসেছি। এখন প্রয়োজনে সাঁজোয়া গাড়ি, ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহার করতে হবে। উদ্দেশ্য, আমাদের সেনাদের ন্যূনতম ক্ষয়ক্ষতি করে শত্রুর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা। ভারতের রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ৩৭০ এবং ৩৫-এ ধারাদুটিকে সাময়িকভাবে বিলুপ্ত করতে পারেন। সে অধ্যাদেশ এমনভাবে আনতে হবে, যাতে সেটা আদালতে হেরে না যায়। তিনমাস হবে সেই অধ্যাদেশের মেয়াদ, তারমধ্যেই কেল্লাফতে করতে হবে। বারামুলার মতো জায়গায় সন্ত্রাসের প্রতি সহানুভূতিশীল বাসিন্দাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। মূল ভূখণ্ড থেকে সশস্ত্র রাষ্ট্রভক্তদের এনে সেখানে বসতি গড়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তিন মাসেই কাশ্মীরের জনসংখ্যার বিন্যাস বদলে দিতে হবে। কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। ওরা একরাতে কাশ্মীর হিন্দুশূন্য করেছিল, মনে আছে তো?

অঘোষিত যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর বহির্মুখী অভিমুখটা। তার অঙ্গ হিসেবে প্রথমেই সীমান্ত বরাবর সংঘর্ষ শুরু করতে হবে। শুধু ভারতের সীমান্তেই নয়, পাকিস্তানের চারটে সীমান্তেই। ভারত, ইরান ও আফগানিস্তান, তিনটি দেশ মিলে সীমান্ত জুড়ে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ চালিয়ে যেতে হবে। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। পাকিস্তানের বন্দরে যেসব জাহাজ আসবে, ডুবোজাহাজ ব্যবহার করে তাদেরকে ক্রমাগত ডুবিয়ে দিতে হবে। সবদিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলতে হবে পাকিস্তানকে। যে কোনো দেশের যুদ্ধ করবার ক্ষমতা নির্ভর করে তার আর্থিক সম্পন্নতার ওপর। সেই আর্থিক সম্পন্নতা অনেকটাই নির্ভরশীল দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার ওপর। সাইবার অ্যাটাকের মাধ্যমে পাকিস্তানের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে দিতে হবে। ব্যাঙ্কের সিকিউরিটি হ্যাক করে ব্যাঙ্কগুলোকে দেউলিয়া করে দিতে হবে। ভারতের সুপারকম্পিউটার ও আমাদের তুখোড় প্রযুক্তিবিদরা সহায় হবে এই কাজে।

বিশ্বাস আছে, ভারত ঠিকই প্রতিশোধ নেবে। মোদী যেমন তেমন নেতা নন, তাকে ভয় পায় পাকিস্তানের লোকেরাও। তার পরিচয় ইমরান খানের সাম্প্রতিক ভাষণে, পরিচয় পাকিস্তানি টিভির সাম্প্রতিক প্রসারণগুলোতে। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, ভয়ে কাঁপছে ওরা প্রত্যেকে। দেখা যাক, কী হয়। আমি আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করি, পাকিস্তানের যেন দ্রুত বিলয় ঘটে। এটা কোনো ঘৃণা বা প্রতিশোধের কথা নয়। পাকিস্তানের বিলয় প্রয়োজন, কারণ যতদিন বিশ্বের মানচিত্রে পাকিস্তানের অস্তিত্ব আছে, ভারতের স্বাধীনতা ততদিন নিষ্কণ্টক নয়।

প্রবাল চক্রবর্তী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.