অদ্ভুত এই রাজ্যের রাজনীতি অদ্ভুত এই বাংলার মিডিয়া।সালতোড়ার বিধায়িকা চন্দনা বাউরি বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও নাকি বিয়ে করেছেন,বলে সকাল থেকে প্রচার শুরু করে দিলো,অথচ ঘটনাটি সর্বৈব মিথ্যা।চন্দনা বাউরি ও ওনার স্বামী পুরো ঘটনাটা বিরোধীদের কুৎসা রটনানোর চেষ্টা বলেছেন।
এখন প্রশ্ন হলো বাংলার মিডিয়া এই চন্দনা বাউরির ঘটনা নিয়ে এত মাতামাতি করছে কেন?তার একটাই কারণ চন্দনা বাউরি এই চারমাসে যে ভাবে সারা দেশের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তাতে অনেকের খুব জ্বলন হচ্ছে।কারণ চন্দনা বাউরি সারা দেশের কাছেই একটা মুখ হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে শাসকদলের এক সাংসদের হবু সন্তানের বাবা কে সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠলো, তিনি বিবাহিত বলে নমিনেশন ফাইল করার পরেও নিজেকে অবিবাহিত বলে দিল,কিন্তু মিডিয়া ব্যাপারটা এতোটাও সিরিয়াস নিলো না,তাদের দলেও চুপ থাকলো।
কলকাতার একজন বিধায়ক রোজ মদ খেয়ে ডানে বামে দুটো মেয়েকে নিয়ে ,প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়,অদ্ভুত সব কথাবার্তা বলে সেটা কোনো ব্যাপার নয়,কারণ উনি কলকাতার কেষ্ট ঠাকুর,আর ওনাকে যিনি বাংলার ক্রাশ বলেছিল তিনি বিধানসভার টিকিট দলে বড়ো পদ সব পেয়েছে। আর শোভনবাবুর কথা কি বলবো তিনি তো পরকিয়াকে আধুনিক রূপ দিয়ে,বিশ্বের কাছে একটা বিশেষ জায়গা দখল করে নিয়েছে,তবুও উনি ঠিক।এরা সবাই দলের সম্পদ।
আসল কথা চন্দনা বাউরি নয়,কোনো গরিব যখন প্রতিষ্ঠীত হয়,তখন সে অনেকের কাছে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠে।যে রাজ্যে শাসক দলের সব নেতানেত্রীরা দুর্নীতিতে যুক্ত,সেই রাজ্যে বিরোধী দলের কাছে যদি একজন সৎ গরিব বিধায়িকা থাকে,সেটা কি সহ্য করা যায়?তাই বলবো এই সব মানসিকতার পরিবর্তন ঘটান,কুৎসা বন্ধ করে,গঠনমূলক সমলোচনা করুন,সেটা সমাজ ও রাজ্যের পক্ষে ভালো হবে।