পাকিস্তানের সমর্থন করেছিল চীন, এই কারণে চীনকে বড়ো ঝটকা দিতে চলেছে ভারত। করা হবে চীনা বস্তুর বর্জন।

উৎসবের মরসুমে আপনি যদি মেড ইন চায়না লেখা খেলনা, বৈদ্যুতিন পণ্য, মোবাইল, বৈদ্যুতিক পণ্য এবং সজ্জাসংক্রান্ত জিনিস বাজারে কম দেখেন তবে অবাক হবার কিচ্ছু নেই। আসলে, সন্ত্রাসবাদ ও পাকিস্তানের পক্ষে চীনকে সমর্থন করার কারণে ভারতের ব্যবসায়ীরা চীনা পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। চীনের প্রোডাক্টকে গুরুত্বহীন করার জন্য সঙ্কল্প নিয়েছে ব্যাবসায়ী সমহু।জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলে টানা চতুর্থবারের মতো পাকিস্তানের উন্মুক্ত সমর্থনে  নামায় ভারত দেশ ব্যবসায়ীরা গভীরভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা ঘোষণা করেছেন যে ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে তারা সারা দেশে চীনা পণ্য বর্জন করার জন্য একটি প্রচারণা চালাবে। চূড়ান্তভাবে আমদানি করা পণ্যের উপর সর্বাধিক শুল্ক আরোপ করার এবং দেশীয় শিল্পের জন্য একটি বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া ট্রেডারস কনফেডারেশন। সংগঠনটি চাইনিজ পণ্যের উপর 500 শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছে।

ব্যবসায়ীরা মনে করেন, চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর শুল্ক সঠিকভাবে আদায় করা হচ্ছে না, যা দেশের রাজস্বের ব্যাপক ক্ষতি করছে। চীনা পণ্যের মূল্য নির্ধারণ হ্রাস করে ভারতে প্রেরণ করা হয়, যার কারণে কাস্টম শুল্ক কম থাকে এবং একই ভিত্তিতে আইজিএসটি চার্জ করা হয়। চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের লেনদেনে হাওলার মাধ্যমে অর্থ হস্তান্তর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষুদ্র ও দেশীয় শিল্প খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বাণিজ্যের ভারসাম্যও ভারতের পক্ষে নয়। সুতরাং বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও চীনে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.